প্রতি বছর ২২ ডিসেম্বর এ দেশে উদ্যাপিত হয় জাতীয় গণিত দিবস। এই দিনটিতেই তামিলনাড়ুর রােদ শহরে জন্ম নিয়েছিলেন ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজন।
জানা গিয়েছে এ হেন রামানুজন নাকি স্কুল জীবনে অঙ্ক পরীক্ষায় বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তরই লিখতেন না। কেবল যে সমস্ত অঙ্ক তাকে আকৃষ্ট করতে তিনি কেবল সেগুলিরই উত্তর লিখতেন। শুধুমাত্র সেটুকু করেই তিনি খাতা জমা দিয়ে দিতেন। বাকি অঙ্কগুলাে তার এতটাই সহজ মনে হত যে সেগুলাে করে তিনি আর সময় নষ্ট করতে চাইতেন না।
যদিও অঙ্ক ছাড়া অন্য সব বিষয়ে তেমন তুখােড় ছিলেন না তিনি। শােনা যায় সেগুলিতে নাকি ধরাবাধা নিয়মে প্রতি বছর ফেল করে যেতেন তিনি।
মাত্র ১১ বছর বয়সেই রামানুজনের অঙ্কের দক্ষতা প্রকট হয়ে ওঠে। এই বয়সে তিনি কলেজের অঙ্কও করতে পারতেন। করতে পারতেন ত্রিকোণমিতি। ১৩ বছরে অঙ্কে রীতিমতাে পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। ওই বয়সেই অঙ্কে তাঁর কাছে অসাধ্য কিছু ছিল না। শুধু ছাত্ররাই নয়, প্রয়ােজনে শিক্ষকরাও অঙ্ক বুঝে নিতেন তাঁর কাছে। ইতিহাস তেমনটাই দাবি করে।
১৯০৪ সালে স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষাটি দিয়েছিলেন রামানুজন। অঙ্কে কৃতিত্বের জন্য কুম্ভকোনম সরকারি কলেজে স্কলারশিপ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অন্য সব বিষয়ে পাশ করতে পারেননি বলে স্কলারশিপ বতিল হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু পরবর্তীকালে রামানুজন প্রাইম, রামানুজন থেটা ফাংশন, রামানুজন নম্বর, রামানুজন স্কোয়ার একের পর এক বিস্ময়কর সুত্র আবিষ্কার করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি।