কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৃহস্পতিবার সকালে জিস্যুট পরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজসে ওড়ার জন্যে প্রস্তুতি নেন। বেঙ্গালুরু হ্যাল বিমানবন্দর থেকে হােমমেড লাইট কমব্যাট বিমান (এলসিএ) তেজসে ওঠার পরিকল্পনা করেন তিনি।
রাজনাথ সিং প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী যিনি এই বিমানটিতে সওয়ার হলেন। রাজনাথ সিং পাইলটের সঙ্গে যুদ্ধ বিমানের সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন এবং বিমানের আসনে বসেন তিনি। একটি সাদা হেলমেট এবং অক্সিজেন মাস্ক পরা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বিমানটি উড়ান দেওয়ার আগেই যথেষ্ট উত্তেজিত দেখা যায়। উড়ানের আগে এলসিএ তেজস বিমানের পাইলট এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য আধিকারিকরা তাঁকে বিমানটির বিষয়ে বিস্তারিত বােঝান।
গত শুক্রবার, দেশের প্রথম যুদ্ধবিমান হিসাবে তেজস গােয়ায় সফলভাবে ‘অবতরণ’ করে, এই বিমানটিকে নৌবাহিনীর সঙ্গে পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স (আইএএফ) ইতিমধ্যেই তেজস বিমানের একটি ব্যাচকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এলসিএর নৌ সংস্করণটির আরও অত্যাধুনিক করার কাজ চলছে। এই যুদ্ধবিমানের উড়ান শেষ করে রাজনাথ সিং বেঙ্গালুরুতে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলরপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) একটি প্রদর্শনীতেও অংশ নেবেন। প্রাথমিকভাবে, ভারতীয় বিমান বাহিনী ৪০টি তেজস বিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্তান অ্যারােনটিক্স লিমিটেডের কাছে বরাত দিয়েছে।
গত বছর, বিমানবাহিনী ৫০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৩টি তেজসের আরও একটি ব্যাচ সংগ্রহের জন্য হ্যালকে প্রস্তাব (আরএফপি) দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির পূর্ববর্তী সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন নির্মলা সীতারামন, তিনি সেই সময় দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা নেত্রী হিসাবে সুখােই-৩০ যুদ্ধবিমানে সওয়ার। সুপারসনিক জেটটি তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে নিয়ে যােধপুর বিমানবাহিনী স্টেশন থেকে ৪৫ মিনিটের এক উড়ান দিয়েছিল।