ইমরানের ছেড়ে যাওয়া গদিতে বসেই শাহবাজ শরিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কাশ্মীর প্রসঙ্গ বিশ্বমঞ্চে তুলবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁরা চান কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হলে তা সম্ভব নয়।
এদিন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পালটা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বললেন, পাকিস্তানের মাটিতে চলা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আগে দমন করুন।
সোমবার পাকিস্তান মুসলিম লিগের সভাপতি শাহবাজ পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। যার পর সৌজন্যবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
টুইট করে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, ভারত চায় উপমহাদেশ সন্ত্রাসমুক্ত হোক। আর তা হলে উন্নয়নের কাজে আরও বেশি করে মন দেওয়া যাবে। উলটো দিকে পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েই শাহবাজ শরিফের মুখে শোনা যায় কাশ্মীর-জপ।
মোদিকে উদ্দেশ্য করে শাহবাজের বার্তা ছিল, মোদিকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে দু’দেশেই দারিদ্র আছে। আবেদন জানাব, মোদি এগিয়ে আসুন এবং জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করুন।
তার পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গরিবির বিরুদ্ধে লড়াই করব। এইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু এটা কাশ্মীর সমস্যা সমাধান ছাড়া সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করব আমরা।
এদিন শাহবাজের ‘কাশ্মীর চালে’র পালটা দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। যিনি বর্তমানে আমেরিকা সফর করছেন। সেখান থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রাথমিকভাবে সৌজন্যমূলক বার্তা দেন রাজনাথ।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের মাটি থেকে সৃষ্ট সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করার বিষয়ে নজর দিতে বলেন নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীকে। বলেন, আমরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে একটা বার্তা দিতে চাই, দয়া করে পাকিস্তানের মাটিতে চলা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিষয়ে নজর দিন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া জানিয়েছিলেন, ভারত রাজি থাকলে কাশ্মীর নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে চায় পাকিস্তান।
ভারতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ করণ থাপর এ প্রসঙ্গে বলেন, কাশ্মীরে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার জন্য পাক সেনা নয়া সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে বার্তা দিয়ে রাখলেন শাহবাজ শরিফ।