বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, লাচুংয়ে ৩ জনের দেহ উদ্ধার , মঙ্গন এলাকায় হড়পা বানে ৫ জন নিখোঁজ 

গ্যাংটক, ১৩ জুন – প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। উত্তর সিকিমের লাচুং এলাকায় ধস নেমেছে।  বৃহস্পতিবার লাচুংয়ের পার্কসং থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পরই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন উত্তর সিকিমের জেলাশাসক। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, যানবাহন।  সিকিম জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গের আকাশেও শঙ্কার মেঘ।  তিস্তার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কালিমপংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । তিস্তা নদীতে জলস্ফীতির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে লাচুংয়ে।  সিংথাম ও রংপো- তিস্তা লাল সতর্কতা পার করেছে।

ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় কালিমপংয়ের সঙ্গে।  যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলা – সিকিম যোগাযোগের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃষ্টির জেরে জোড়বাংলো হয়ে ঘুম যাওয়ার রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।     

 বৃহস্পতিবার মঙ্গন এলাকায় হড়পা বানে ৫ জন ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শেষ পাওয়া খবরে কাউকে  খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁরা আর বেঁচে নেই। প্রশাসনের তরফে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফুঁসছে তিস্তা। একাধিক রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের কারণে। গাড়ি চলাচল বন্ধ, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটকও। এই অবস্থায় হড়পা বানে ৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবরে আরও আতঙ্ক বাড়ছে ।  


সিকিমের মঙ্গন জেলায় বুধবার রাত কমপক্ষে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর মিলেছে। বর্তমানে সিকিমের বাকি এলাকা থেকে এই জেলা বিচ্ছিন্ন । শুধু মঙ্গন নয়, গেইথাং, নামপাথাং এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তিস্তা নদীতেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তিস্তার জল বেড়ে চলে আতঙ্কে তিস্তা বাজার , মাল্লি এলাকার বাসিন্দারা। কালিমপংয়ের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মনিয়ম টি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে ঘনঘন যোগাযোগ করা হচ্ছে।

রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং দুর্গতদের সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এখনও বহু পর্যটক রয়েছেন সিকিমে। তাঁদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় চলছে।