অযোধ্যা, ২০ জানুয়ারি – অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক করে বলা হয়েছিল এই সময়ে তাঁরা যেন অযোধ্যায় না আসেন। কিন্তু বারণ সত্ত্বেও বহু মানুষ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন অযোধ্যায়। শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে নানা বেশে, নানা ভাবে মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন মন্দির দর্শনে। মোটরবাইক, সাইকেলে , গরুর গাড়ি করেও বহু সাধু সন্ন্যাসী আসছেন।জনতার এই স্রোত সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিস্থিতিতে লাগাম পরাতে অযোধ্যায় ট্রেন দাঁড় করানো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। প্রশাসনের অনুরোধ মেনে শুক্রবার রাত থেকেই স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর রেল। অযোধ্যাগামী বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা আগের বিভিন্ন স্টেশনে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা রুটের ট্রেনগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য পথে।
অযোধ্যা শহরের কাছের দুটি রেলস্টেশন, অযোধ্যা ধাম জংশন এবং ফৈজাবাদ জংশন এই দুটি স্টেশনেই শনিবার থেকে ট্রেন যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে তা চালু হবে জানা নেই স্টেশনের রেলকর্মীদেরও। তবে সোমবার পর্যন্ত চলবে না তা স্থির করা হয়েছে রেলের তরফে । এই সময়ে যাঁদের টিকিট কাটা রয়েছে, তাঁদের পুরো টাকাও ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
অযোধ্যা শহরের পরিস্থিতি দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ জেলা প্রশাসনের। সোমবারের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কি কি পদক্ষেপ করা হবে, তার আগাম ব্যবস্থা রাখা হলেও যেভাবে আমজনতা ভিড় জমাচ্ছেন , তাতে দুশ্চিন্তায় পুলিশ-প্রশাসন। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, নিমন্ত্রিতরা ছাড়া আর কেউ আসতে পারবেন না এই সময়ে। মন্দির দর্শন দূরের কথা, শহরেও অতিরিক্ত ভিড় করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু বেশ কয়েক দিন আগেই যাঁরা শহরে ঢুকে পড়েছেন তাঁরা থেকে গিয়েছেন। সাধু, সন্ত, ভক্তেরা ঢল নেমেছে। যেসব নিমন্ত্রিতেরা ট্রেনে করে শনি ও রবিবারে ঢুকবেন বলে ঠিক করেছিলেন, তাঁরা মাঝখান থেকে পথে আটকে পড়েছেন। এখন তাঁদের আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশেষ অতিথিদের আনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয় ।
অন্য দিকে, শনিবার সকাল থেকেই রামলালার দর্শনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মন্দিরে যাওয়ার সব রাস্তাই শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে রাস্তার মুখের ভিড় কমানো যায়নি। মন্দির সাজানোর কাজ চলছে, নির্মাণকর্মীরাও রাস্তা তৈরির কাজ সারছেন। যে মন্দির উদ্বোধন হবে সোমবার তার একটি তলা এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। এখনও অনেক কাজ বাকি। সেই নির্মাণ কাজও শনিবার থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ।