অসমে ক্ষমতায় এলে সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অসমে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রথম সভাতেই এই প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। বিভাজনের অভিযােগ তুলে বললেন, অসমের নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী চাই, যিনি দিল্লি বা নাগপুরের কথা না শুনে অসমবাসীর কথা ভাববেন। ১৯৮৫-এর অসম চুক্তির প্রতিটি শর্ত রক্ষা করবেন বলেও অসমবাসীকে আশ্বস্ত করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
রবিবার সভায় রাহুল বলেন, “আমরা আজ গামােছা পরেছি। এতে সিএএ লিখে কেটে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, আর যাই হােক, এখানে সিএএ কার্যকর হবে না।” তবে অনুপ্রবেশ যে অসমের বড় সমস্যা, তা স্বীকার করে রাহুলের বক্তব্য, “এই সমস্যা অসমবাসী নিজেই সমাধান করতে পারেন আলােচনার মাধ্যমে।”
একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “অসম চুক্তি শান্তি ফিরিয়েছিল রাজ্যে। আমি এবং আমার দলের কর্মীরা সেই চুক্তির প্রতিটি ধারা রক্ষা করব। এর থেকে এক বিন্দুও সরব না।” রাহুল আরও বলেন, “অসম চুক্তিকে সামনে রেখে অসমে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি এবং আরএসএস। অসম ভাগ হলে নরেন্দ্র মােদি এবং অমিত শাহ’র উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু অসম এবং সারা দেশের ক্ষতি হবে।”
রিমােট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি চালানাে যায়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নয়। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নাগপুর ও দিল্লির ইশারায় চলেন। কিন্তু অসমের নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী হলে যুবকরা কাজ পাবেন।