• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

রাহুলের দ্বিধা শুনতেই  ওয়ানাড়ের চিৎকার ‘রায়বরেলি ছাড়ুন’

তিরুবন্তপুরম, ১২ জুন– রায়বরেলি, না ওয়ানাড়! এখন এই প্রশ্নেই বেজায় দ্বিধায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ লোকসভা নির্বাচনে দু’জায়গার মানুষই রাহুল গান্ধিকে প্রাণ উজাড় করে ভোট দিয়েছেন৷ কিন্ত সেই ভালোবাসাই এখন রাহুলের কাছে দ্বিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ এখন রাহুল সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি কাকে বাছবেন রায়বরেলি নাকি ওয়ানাড়৷ বুধবার উত্তর কেরলে নিজের কেন্দ্র ওয়ানাড়ের

তিরুবন্তপুরম, ১২ জুন– রায়বরেলি, না ওয়ানাড়! এখন এই প্রশ্নেই বেজায় দ্বিধায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ লোকসভা নির্বাচনে দু’জায়গার মানুষই রাহুল গান্ধিকে প্রাণ উজাড় করে ভোট দিয়েছেন৷ কিন্ত সেই ভালোবাসাই এখন রাহুলের কাছে দ্বিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ এখন রাহুল সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি কাকে বাছবেন রায়বরেলি নাকি ওয়ানাড়৷ বুধবার উত্তর কেরলে নিজের কেন্দ্র ওয়ানাড়ের দু’বারের সাংসদ রাহুল একটি রোড শো করেন৷ সেখানে এক জনসভায় কংগ্রেস সেনাপতি বলেন, আমি বিরাট দ্বিধায় পডে় গিয়েছি৷ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি৷ আমি ওয়ানাডে়র সংসদ সদস্য থাকব, নাকি রায়বরেলি থেকে!
এদিন ওয়ানাডে়র সভায় মানুষকে তাঁকে দ্বিতীয়বার সাংসদ পদে জয়ী করার জন্য ধন্যবাদ জানান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি৷ লোকসভা ভোটে জেতার পর এই তাঁর প্রথম কেরল সফর৷ তিনি বলেন, ভালোবাসার কাছে ঘৃণার রাজনীতি পরাজিত হয়েছে৷ নম্রতার কাছে ঔদ্ধত্য হার মেনেছে৷ এদিনের সভায় মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, আমি তো সোজা ভগবানের কাছ থেকে নির্দেশ পাই না৷ আমি সামান্য একজন মানুষ৷ আমার ভগবান হল এদেশের গরিব মানুষ৷ ওয়ানাডে়র মানুষ আমার ভগবান৷ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি সিদ্ধান্ত নেব৷
তিনি দাবি করেন, দুটি কেন্দ্রের একটি ছেডে় আরেকটির সাংসদ পদ ধরে রাখলে ওয়ানাড় ও রায়বরেলির মানুষ কেউই অখুশি হবেন না৷ তাঁর সিদ্ধান্তকে সকলেই খুশি মনে মেনে নেবেন বলে বিশ্বাস আছে৷ কিন্ত্ত, তারপর তাঁকে যেন আরও দ্বিধাগ্রস্ত দেখায়৷ কারণ জনসভা থেকে চিৎকার ভেসে আসে ওয়ানাড়৷
রাহুল আরও বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সংবিধান রক্ষার লড়াই৷ আপনাদের কাছে খুব শীঘ্রই আবার আসব৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতিকেও তুলোধনা করেন রাহুল৷ বলেন, সত্যি হল, প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে কান ঘেঁষে বেঁচে গিয়েছেন৷ বিজেপি অযোধ্যায় হেরে গিয়েছে, যার অর্থ হল, মানুষ হিংসা ও ঘৃণার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না৷ তাঁর দাবি, দিল্লিতে যে সরকার গঠিত হচ্ছে তা পঙ্গু সরকার৷ বিরোধীরা বিরাট ধাক্কা মেরেছে বিজেপিকে৷ আপনারা মিলিয়ে নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচরণও বদলে যাবে৷ কারণ, ভারতের মানুষ তাঁকে পাঠ পডি়য়ে দিয়েছে৷