করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ব্যবস্থা যে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নয় তা প্রতিদিন বেড়ে চলা সংক্রমণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। উল্টে লকডাউনের ফলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে বললে ভুল বলা হবে না। সরকার করোনা মোকাবিলায় পরবর্তী কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে তার কোনও রূপরেখাই প্রকাশ করছে না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতে যখন লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে তখন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো চারটি পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণা করেও কোনও সদর্থক ফল পাওয়া গেল না। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, মে মাসের শেষ নাগাদ লকডাউনের ফলে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং উল্টো ফল হয়েছে।
এমন মারণরোগ প্রতিরোধে সরকার ভবিষ্যতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তাও জানা জরুরি। ভারতে যখন সংক্রমণ বাড়ছে তখনই লকডাউন শিথিল করার কথা ঘোষণা করছে সরকার। হিন্দিতে করা টুইটে রাহুল জানান, দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী প্রথম একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে বলেছিলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশ সফল হবে। কিন্তু ষাট দিন অতিক্রান্ত এবং প্রত্যেক দিন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লকডাউন ভাইরাস প্রতিরোধে অসমর্থ। কিন্তু সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি তিনি জানতে চান।
রাহুল জানান, প্রথম যে দিন প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করেন সেদিন ৪৯৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল এবং মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। কিন্তু সংক্রমণ সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ১.৪ লাখ, চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এপ্রিল মাস থেকেই সরকারীভাবে লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু করে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের স্বাস্থ্য ও আর্থিক স্বাস্থ্যের কারণেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সড়ক, রেল ও বিমান পরিষেবা আস্তে আস্তে চালু করা হচ্ছে।
কবে ভারত লকডাউন মুক্ত হবে, মারণ রোগ প্রতিরোধে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি, পরিযায়ী শ্রমিদের কিভাবে সরকার সাহায্য করছে, রাজ্য সরকারগুলিকে এবং এমএসএমইগুলিকে কিভাবে সাহায্য করে তাদের সার্বিক ব্যবস্থা চাঙ্গা করবে তার কোনও নীতি কি আদৌ গ্রহণ করেছে সরকার বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজের মাধ্যমে দশ শতাংশ জিডিপি সমান আর্থিক ঘোষণা করেছেন বলে দাবি করলেও তা যে এক শতাংশের কম এবং প্যাকেজ সবই ঋণের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরকার দরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে এবং কেন্দ্রের উচিত সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া বলে তিনি দাবি করেন।