• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়ে রাহুলের দলীয় কর্মী তথা নেতাদের এক্স বার্তা

মানুষকে অপমান করা কোনও ভাবেই শক্তি দেখানোর পর্যায়ে পডে় না৷ বরং দুর্বলতার লক্ষণ দিল্লি, ১২ জুলাই– ভদ্র রাজনীতির অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ অতিতে তাঁকে নিয়ে যে রাজনীতিজ্ঞ নোংরা, কুরুচিকর ভাষার প্রয়োগ করে বিঁধেছেন, শুক্রবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েই রাহুল নিজের দলীয় কর্মীদের বলছেন, ‘সবাইকে বলছি, স্মৃতি ইরানি সম্পর্কে

মানুষকে অপমান করা কোনও ভাবেই শক্তি দেখানোর পর্যায়ে পডে় না৷ বরং দুর্বলতার লক্ষণ
দিল্লি, ১২ জুলাই– ভদ্র রাজনীতির অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ অতিতে তাঁকে নিয়ে যে রাজনীতিজ্ঞ নোংরা, কুরুচিকর ভাষার প্রয়োগ করে বিঁধেছেন, শুক্রবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েই রাহুল নিজের দলীয় কর্মীদের বলছেন, ‘সবাইকে বলছি, স্মৃতি ইরানি সম্পর্কে নোংরা ও অপমানজনক ভাষার ব্যবহার বন্ধ করুন৷ কারও সম্পর্কেই খারাপ কথা বলবেন না’৷  শুধু দলীয় কর্মী নন, বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিন্দুকদের উদ্দেশেও রাহুলের বার্তা, স্মৃতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা থেকে বিরত থাকতে হবে৷ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কংগ্রেস নেতা জানান, মানুষকে অপমান করা দুর্বলতার লক্ষণ!

শুক্রবার রাহুল সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘জীবনে জয়-পরাজয় ঘটেই৷ আমি সকলকে এই বিষয়ে স্মৃতি ইরানির বা অন্য কোনও নেতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার না করার আহ্বান জানাই৷ মানুষকে অপমান করা কোনওভাবেই শক্তি দেখানোর পর্যায়ে পড়ে না৷ বরং দুর্বলতার লক্ষণ৷’’

অথচ কয়েকটা বছর পিছিয়ে গেলেই দেখা যাবে এই স্মৃতির ঔদ্ধত্যের এক আলাদা ছবি৷ লোকসভার প্রচারে অমেঠিতে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি৷ তাঁর বক্তৃতার সময়ে মাইক ঠিকমতো কাজ না করায় টিপ্পনি কেটে স্মৃতি বলেছিলেন, কে দিয়েছে এটা? ওঁর নামও কি রাহুল? এহেন স্মৃতি অমেঠিতে হেরে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও তাঁকে ট্রোল করছেন অনেকেই৷ কেউ কেউ কদর্য ভাষা প্রয়োগও করে ফেলছেন৷

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই অমেঠি লোকসভা আসনে রাহুলকে হারিয়েছিলেন স্মৃতি৷ তার পর থেকে তাঁর কথায়বার্তায় ও আচরণে এক প্রকার ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কারের ছাপ পডে়ছিল বলে অনেকে মনে করেন৷ তাঁদের মতে, রাহুল সম্পর্কে স্মৃতি অতীতে যে ধরনের সমালোচনা করেছেন, তাও কোথাও কোথাও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সীমা ছাডি়য়েছিল৷ অথচ রাহুলের এই ব্যবহার স্মৃতির সমস্ত অপমানের যোগ্য জবাব বলেই মনে করছেন রাজনীতিকমহল৷