মোদি সরকারের লোভের বলি ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ: রাহুল

দিল্লি, ২০ জুন– শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে আগেই মোদিকে ঘিরতে প্রস্তুত রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস৷ এবার জুড়ল নিট৷ তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এনডিএকে নাস্তানুবাদ করতে তৈরি কংগ্রেসের নেতৃত্ব ইন্ডিয়া জোট৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, এই ইসু্যতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবে বিরোধীরা৷ এছাড়াও তিনি নিট প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জডি়ত তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন৷ রাহুল বলেন, দেশের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এই সরকার৷
এদিন নিট-ইউজি ২০২৪ এবং ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়ে বেশ উত্তেজিত দেখা যায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে৷ নাম না করে বিজেপির সূত্রধর আরএসএসকে শিক্ষা দুর্নীতির নেপথ্য কারিগর বলে দাগিয়ে দেন রায়বরেলির সাংসদ৷
মোদির ৫৬ ইঞ্চির ছাতি উক্তি টেনে এনে রাহুল বলেন, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি এখন ৩২-৩৩ এ দাঁড়িয়েছে৷ নিজের ওপর ভরসা নেই বলেই দেশের মানুষের মধ্যে এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে যে ভয় তৈরি করেছিলেন তা এখন শেষ৷ যার পরিণতি নিজের কেন্দ্রেই তাকে মানুষের জুতো খেতে হয়েছে৷ কারণ আর মানুষের মধ্যে মোদি বা গেরুয়া শিবিরের ভয় নেই৷
প্রাক্তন বিজেপি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধি  আনেন৷ বলেন, আজ যদি বাজপেয়ী কিংবা মনমোহন সিংয়ের মতো নেতা থাকতেন, তাহলে তাঁরা অন্যভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতেন৷ তাঁদের মধ্যে একটা সহমর্মিতা, মমত্ববোধ ছিল৷ কিন্ত্ত, এই প্রধানমন্ত্রী চলেন নিজের খুশিতে৷ কারও কথা শোনেন না৷ ওনার জোর ওনার এজেন্সি৷ কিন্ত্ত, মানুষ যে আর ভয় পাচ্ছে না, তা লোকসভা ভোটেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে৷
গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, বিহারই যে প্রশ্নফাঁসের কেন্দ্র তা মনে করিয়ে রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন উনি যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্ত্ত নিজের দেশের প্রশ্নফাঁসই রুখতে পারেন না৷ এর পিছনে যে বিজেপির একটা বিরাট চক্র আছে৷
পরিকল্পনা করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বদল করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে৷ নিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে৷ ইউজিসি-নেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ প্রশ্নফাঁসকে দেশবিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেসের এই সাংসদ৷
একইসঙ্গে নিট পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা এনটিএ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, যদি সৎ মানুষরা চাকরি পান, শিক্ষাব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পান, তাহলে তো এটা হওয়ার কথা নয়৷ কিন্ত্ত, উপাচার্য থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মাথায় বসানো হচ্ছে একটি দল বা মতবাদে বিশ্বাসীদের৷