রাহুল গান্ধি আর কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরবেন না। কংগ্রেসের শীর্ষপদকে ‘গান্ধিমুক্ত’ করতে বদ্ধ পরিকর তিনি। আর সেকারণেই দলের এই ভগ্নদশায় নতুন করে হাল ধরার কোনও পরিকল্পনা ওয়ানড়ের সাংসদের নেই। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের।
রাহুল গান্ধি নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর কোনওভাবেই কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরতে চান না। গতবছর লােকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি পদ ত্যাগ করার পর তাঁর সাফ কথা ছিল, এবার পরিবারের বাইরে কারও সভাপতি হওয়া উচিত। কিন্তু রাহুলের পদত্যাগের পরও গান্ধিদের বাইরে বেরতে পারেনি দল। ঘুরেফিরে সেই সােনিয়া গান্ধিকে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, তারপর একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়ছে। ক্রমশ শক্তিক্ষয় হচ্ছে। দলের অন্দরে অনেকে সরব হচ্ছেন নেতৃত্বে বদল চেয়ে। কারও দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন নয়, কংগ্রেসের প্রয়ােজন স্থায়ী সভাপতি। এই নেতৃত্বে বদল চাওয়ার দাবি জানানাে নেতারা যে গান্ধি পরিবারের উপর আস্থা হারিয়েছেন সেটা বলাই বাহুল্য।
যদিও, এখনও কংগ্রেসের একটা বড় অংশ চায়, গান্ধিদের হাতেই থাকুক দলের রাশ। কারণ, তাঁরাই কংগ্রেরে মূল ইউএসপি। আর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা গান্ধি পরিবারের বাইরের কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই নেতারা গত দেড় বছরে বারবার রাহুলকে অনুরােধ করেছেন সভাপতির পদে পুনরায় আসীন হওয়ার জন্য। কিন্তু রাহুল বারবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সূত্রের খবর, আগামী মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন। বাংলা, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী বছর এপ্রিল মাসে। তার আগে নতুন সভাপতি চায় দল। যাতে নির্বাচনে লড়া যায় নতুন সভাপতির নতুন টিম নিয়ে। তার আগে শেষবার রাহুলকে বােঝানাে হবে, যাতে তিনি দায়িত্ব ফিরিয়ে নেন। কিন্তু রাহুল নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি আর কোনওভাবেই ফিরবেন না। নিজের আগের অবস্থানে অর্থাৎ কংগ্রেসের শীর্ষপদে পরিবারের বাইরে কারও বসা উচিত, সেই অবস্থানেই অনড় আছেন তিনি।