বৃহস্পতিবার বাল্মীকি জয়ন্তীর সকালে মন্দির মার্গের বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিতে যান লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী। বাল্মীকি হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের লেখক এবং বিশেষ করে দলিতদের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। রাহুল গান্ধী মহর্ষি বাল্মীকির জন্মবার্ষিকীতে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আজ সকালে, এই শুভ দিনে আমি দিল্লির বাল্মীকি মন্দির পরিদর্শন করেছি। মহাত্মা গান্ধীজী এই কমপ্লেক্সে বাল্মীকি সম্প্রদায়ের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছেন। আমি কিছু সময়ের জন্য বাপু নিবাসে থেকেছিলাম এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘মহান মহর্ষি বাল্মীকিজিকে প্রণাম, যিনি প্রেম ও মমতায় ভরা মানব সমাজকে সত্য, ন্যায় ও সম্প্রীতির পথ দেখিয়েছিলেন ।’ এর পরে রাহুল গান্ধী ১০ জনপথে বাল্মীকি সমাজের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কংগ্রেস তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে রাহুলের ছবি শেয়ার করে যেখানে তাঁকে বাল্মীকি মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।রাহুলকে মন্দির প্রাঙ্গনে একটি কক্ষ পরিদর্শন করতেও দেখা যায় যেখানে মহাত্মা গান্ধী ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করেছিলেন।
মন্দিরের ভিতরে তাঁর প্রার্থনার ছবি কংগ্রেসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘটা করে বাল্মীকির জন্মজয়ন্তী ‘পরগত দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটের রাজনীতিকে ‘পাখির চোখ’ করেই রাহুলের এই কৌশল কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরী হয়েছে।
হিন্দিবলয়ে দলিতদের অন্যতম হল বাল্মীকি সম্প্রদায়। রামায়ণের স্রষ্টা মহর্ষি বাল্মীকি তাঁদেরই সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন বলে গর্ব করেন বাল্মীকিরা। উত্তর ভারতে গত এক দশক ধরে বাল্মীকিরা বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বলে কোন করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে তাঁদের সমর্থন পেতেই রাহুলের এই তৎপরতা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।