শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের ফাঁকে মোদিকে তোপ রাহুলের

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

ভ্যালেনটাইন্স ডে, প্রেমের দিন- যদিও ভারতীয় সংস্কৃতি নয়, তবুও ভারতীয়রা নিজেদের মতাে করে প্রেমের দিন পালন করে থাকেন। ২০১৯ সালেও দিনটাকে পালন করার জন্য হাজারাে পরিকল্পনা করে রাখলেও সকাল থেকে হতাশা গ্রাস করেছিল আসমুদ্র। হিমাচলকে— পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের বাসের কনভয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা।

গতকাল পুলওয়ামা হামলার বছর পূর্তি। সেদিনের হামলায় ৪০ জন সেনানি শহিদ হয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলওয়ামা হামলার একবছর পূর্ণ হল- ঘটনার দগদগে ঘা এখনও সতেজ। দেশবাসী কোনওদিন শহিদদের আত্মবলিদানের কথা ভুলবেন না। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জওয়ানদের বাসের ভয়ে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। জইশ-ই-মহম্মদ ঘটনার পর হামলার দায় শিকার করেছিল।

তিনি টুইট করে লেখেন, ‘পুলওয়ামা হামলায় শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাই। তারা দেশের সেবায় ও দেশ রক্ষায় আত্মবলিদান করেছিলেন। ভারতীয়রা কোনওদিন সাহসী সেনানিদের আত্মত্যাগের কথা ভুলবেন না।’


প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের আত্মত্যাগ দেশবাসী দেখেছেন। জঙ্গি হামলার শিকার শহিদ জওয়ানরা আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা অমর হয়ে থাকবে। শহিদ সেনানিদের আত্মত্যাগের কথা ভারতীয়রা মনে রাখবেন। দেশবাসীরা যে কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। আমরাও সন্ত্রাস দমনে বদ্ধপরিকর।’

পুলওয়ামা হামলার শহিদদের স্মরণ করে মােদি প্রশাসনকে একহাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, পুলওয়ামা হামলার ঘটনার তদন্ত করা হল, কিন্তু রেজাল্ট কি হল। ঘটনায় কে দোষী? নিরাপত্তা সংক্রান্ত গাফিলতির কারণে হামলা ঘটেছিল কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ফোঁকফাঁকরের জন্য বিজেপি সরকারের কাকে দােষী চিহ্নিত করা উচিত?

টুইট করে তিনি লেখেন, ‘পুলওয়ামা হামলায় শহিদ ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মরণ করছি। ঘটনার তদন্ত হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেছে- পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় কে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে? তদন্ত করা হল, কিন্তু ফলাফল কি বেরােল? নিরাপত্তাজনিত ফোঁকফাঁকরের জন্য বিজেপি সরকারের কাকে দোষী চিহ্নিত করা উচিত?’

শহিদ সেনানিদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, শহিদ জওয়ান ও তাদের পরিবারবর্গদের সমবেদনা জানাই। তাদের প্রতি আমরা চিরকাল কতৃজ্ঞ থাকব। দেশের সার্বভৌমত্ব ও মাতৃভূমির অখন্ডতা বজায় রাখতে। সাহসী সেনানিগণ ও তাদের পরিবার চরমতম স্বার্থত্যাগ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘আগের বছর এই দিনে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। আমরা দেশের জওয়ানদের কুর্নিশ জানাই। তাদের পরিবারকেও সমবেদনা জানাই।’

ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে স্পষ্ট জানানাে হয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রতি সহানুভূতিশীল। বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমা রাও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির কড়া সমালােচনা করে বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা হামলার ঘটনায় সরকারের দিকে আঙুল তুলছে- দেশবাসী যখন পুলওয়ামা হামলার নিহত শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন, তখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করছে তাই নয়, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিও সন্দেহ প্রকাশ করছেন। রাহুল গান্ধি আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। আপনি লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রতি সহানুভূতিশীল- রাহুল কোনওদিন পাকিস্তানকে প্রশ্ন করেন না।’