মোদিকে সম্মুখ সমরে আহ্বান রাহুলের, বললেন

‘আমি তৈরি, মোদিজি রাজি হবেন না’
দিল্লি, ১১ মে– রাজনীতির আঙিনায় একে অপরকে দোষারোপ, রাগ উগরানো নতুন কথা নয়৷ আর ভোটপর্ব এলে তো কথাই নেই৷ তখন প্রতিটি রাজনীতিক দলই যেন একের অপরের চরম শত্রু৷ এই যেমন লোকসভা আসার আগে বা চলাকালীন শাসক দল বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, সবাই আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে বাক্যবাণে একে অপরকে ঘায়েল করা যায়৷ তবে এবার এই পরম্পরাতে ইতি টানতে চাইলেন রাহুল৷ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ‘মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি, আমি যে কোনও ইসু্যতে আপনার সঙ্গে একশো শতাংশ বিতর্ক করতে প্রস্তুত৷ কোনও কারণে আপনি আমার সঙ্গে বসতে না চাইলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বসতে পারেন৷’
অনেক দেশেই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলির প্রথমসারির নেতারা মূল ইসু্য নিয়ে তর্ক বিতর্কের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে৷ ভারতেও একই ব্যবস্থা চালু করতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত প্রথমসারির বেশিরভাগ নেতাই এই প্রস্তাব এড়িয়ে গিয়েছেন৷
রাহুল অবশ্য বসে বোঝাপড়ার এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন মদন লোকুর, এসএম শাহের মতো সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের একাংশের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করে৷ অবরসপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উপদেশ ছিল. ঝগড়া না করে নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধির উচিত মুখোমুখি বসে দেশের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলা৷ সমাধানে কে কী করতে চান দেশবাসীকে বলুন৷
এরপরই রাহুল প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাহুলের সম্মুখ সমরে বসার এই প্রস্তাব৷ সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, ‘আমি জানি আপনি আমার সঙ্গে বিতর্কে রাজি হবেন না৷’ লখনউয়ে কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে রাহুল আরও বলেছেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি, আমি যে কোনও ইসু্যতে আপনার সঙ্গে একশো শতাংশ বিতর্ক করতে প্রস্তুত৷‘
রাহুল কয়েকটি জ্বলন্ত সমস্যার কথা ভাষণে উল্লেখ করেছেন৷ বলেছেন, বেকার সমস্যা, দলিত, আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের দুরবস্থার কথা৷
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে সরব হয়ে অভিযোগ করেছিলেন, হাত চিহ্নের পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে৷ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে খাড়গে তাঁকে চিঠি দিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দেননি৷ কংগ্রেসের, দলের ইস্তাহারে এমন কোনও কথা নেই৷