টার্গেট দিল্লি, অক্টোবরেই রাজধানীতে ন্যায় যাত্রা শুরু রাহুলের 

বছর ঘুরলেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। রাজধানীর ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া শাসক আম আদমি পার্টি। এদিকে রাজধানীর গদি উল্টাতে জোরকদমে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস এবং বিজেপিও। এরই মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিশেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস।

জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানার পর দিল্লি নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। ২৩ অক্টোবর থেকে লোকসভা বিরোধী দলনেতা দিল্লিতে কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা পরিচালনা করবেন। রাহুল ছাড়াও এই যাত্রায় অংশ নেবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। উৎসবকে সামনে রেখে চার ধাপে যাত্রা হবে। 

সূত্রের খবর, ন্যায় যাত্রার সময় দিল্লিতে তিনবার জয়ী বিজেপি সাংসদের ব্যর্থতাকেই ইস্যু করবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। শীলা দীক্ষিত সরকারের সাফল্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেস মোদী সরকার, লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং আম আদমি পার্টির সংঘাত নিয়ে দিল্লির অলিতেগলিতে প্রচার চালাবে। 


সূত্রের খবর, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করবে না তারা। একলা চলো নীতিকে মাথায় রেখেই দিল্লির ঘুঁটি সাজাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। 

দিল্লির আপ সরকারকে আক্রমণ করার জন্য কংগ্রেস বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় এক ডজন প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। এছাড়া বিভিন্ন পরিসংখ্যান জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। অবশ্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ‘হাত’ না ধরলেও কেন্দ্রে বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া-র সঙ্গে থাকবে কংগ্রেস। 

চারটি পর্বে এই ন্যায় যাত্রা যাত্রা হবে

প্রথম পর্ব – ২৩ থেকে ২৮ অক্টোবর

দ্বিতীয় পর্ব – ৮ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর

তৃতীয় পর্ব – ১২ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর

চতুর্থ পর্ব – ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর

আগামী বছর দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হতে চলেছে। তবে প্রয়োজনে তার আগেও নির্বাচন পরিচালনার অধিকার নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। কেজরিওয়াল যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তিনি নভেম্বরে দিল্লিতে নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি এখানেও নির্বাচন হওয়া উচিত।