দিল্লি, ৩১ মার্চ – লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করার চেষ্টা করছেন। এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি থেকে রাহুল বলেন, ”ইভিএম কারসাজি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর, সংবাদমাধ্যমকে চাপে রাখা ছাড়া মোদি-শাহরা ১৮০ আসনের বেশি জেতার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং করা আছে। মোদি আম্পায়ার ঠিক করে রেখেছেন। তাই এত সহজে ৪০০ আসন পার করার স্লোগান দিতে পারছে বিজেপি।” এই প্রসঙ্গে আবার ক্রিকেটের কথাও টেনে আনেন কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এদিন বলেন, ‘আম্পায়ার এবং অধিনায়কের উপর চাপ সৃষ্টি করে খেলোয়াড় কেনাবেচা করে ম্যাচ জেতানো হয়। ক্রিকেটে একে বলা হয় ম্যাচ ফিক্সিং। আমাদের সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। মোদিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ”নরেন্দ্র মোদি আম্পায়ারদের বেছে রেখেছেন। আমাদের দলের দুজনকে গ্রেফতার করাও হয়ে গেছে। লোকসভা ভোটের আগে ফিক্সিং চালু করে দিয়েছে বিজেপি। আপনারা যদি নিজেদের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করে ভোট না দেন তবে তাঁদের ম্যাচ ফিক্সিং সফল হবে। সংবিধান ধ্বংসের মুখে পড়বে।”
রাহুল বলেন, বিজেপির ক্ষমতা নেই ১৮০ আসন পাওয়ার। ইভিএম, ম্যাচ ফিক্সিং, বিরোধী নেতাদের উপর চাপ, এবং মিডিয়া কেনাবেচা ছাড়া তারা ১৮০ আসনও পাবে না। কারসাজি করে তারা ৪০০ আসন পার করতে চাইছে। তাই এত জোর দিয়ে ‘৪০০ আসন পার’ স্লোগান দিতে পারছে বিজেপি।
রাহুল বলেন, ‘কংগ্রেস সবচেয়ে বড় বিরোধী দল। তবু তার সমস্ত অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইটা কি ধরণের নির্বাচন।’ মোদিকে তোপ দেগে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন-চারজন বিলিওনেয়ারের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করছেন। দরিদ্রদের কাছ থেকে সংবিধান কেড়ে নিতেই এই উদ্যোগ। সংবিধান চলে গেলে গরিবদের অধিকারও চলে যাবে।’
লোকসভা ভোটে দিল্লির সিংহাসন ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মোদি-শাহ শিবির। তাই দলের তরফে নতুন স্লোগান তোলা হয়েছে, ‘তিসরি বার মোদি সরকার, আব কী বার ৪০০ পার’। বিজেপির এই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকেই এদিন খোঁচা দেন রাহুল। তিনি বলেন, বিজেপি মনে করে পুলিশ, সিবিআই, ইডিকে সামনে রেখে হুমিক দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে দেশ চালানো যায়। কিন্তু ভারতের কণ্ঠকে দমন করা যায় না। বিশ্বের কোনও শক্তিই মানুষের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না।