জলপাইগুড়ি, ২৮ জানুয়ারি – ফের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করলেন রাহুল গান্ধি। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দেশজুড়ে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করছেন রাহুল গান্ধি । রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তারপর সেখান থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছে যাত্রার সূচনা করেন। রাহুলকে দেখতে জলপাইগুড়ির পিডব্লিউডি মোড় থেকে বেগুনটারি মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন রাহুল। তাঁকে দেখতে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পর সড়ক পথে রাহুল গান্ধি সোজা চলে যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন সেরে সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। দুপুর দুটোর পর পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রার পর গাড়িতে ওঠেন। জ লপাইগুড়ির রাস্তায় রাহুলের সঙ্গে ছিলেন জয়রাম রমেশ ও অধীর চৌধুরী। রাহুলকে দেখতে জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। গাড়ির ছাদে বসে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান রাহুল। যাত্রায় এক শিশুকেও কোলে নিতে দেখা যায় রাহুলকে। ভিড়ের চাপে হাতেই পৌঁছয়নি মাইক্রোফোন। কদমতলা মোড়ে পদযাত্রা শেষে ২ মিনিট বক্তব্য রাখার কথা ছিল তাঁর। পরিকল্পনা ছিল, গাড়ি থেকেই বক্তব্য রাখবেন তিনি। কিন্তু ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। ফলে কোনও কথা না বলেই জলপাইগুড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে।প্রায় এক ঘণ্টা জলপাইগুড়িতে রোড শোয়ের পরে শিলিগুড়ির পথে রওনা হয়ে যান রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা রবিবার শিলিগুড়িতেই থাকবে। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে যাবে এই ন্যায় যাত্রা। তারপর বাংলা ছেড়ে যাবে বিহারে।
এদিকে রবিবার সকালেই জয়রাম রমেশ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে কংগ্রেস রয়েছে। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রসংশা করেন।