• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

 হাথরসে মৃতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি রাহুলের 

হাথরস, ৫ জুলাই –  উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। রাহুল তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২১-এ,  দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।   রাহুল এদিন সেখানে গিয়ে স্বজনহারা মানুষগুলি সঙ্গে কথা বলেন।  এরপর তিনি জানান, ‘আমি রাজনৈতিকভাবে এখানে কিছু বলতে  চাই না ।

হাথরস, ৫ জুলাই –  উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। রাহুল তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২১-এ,  দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।   রাহুল এদিন সেখানে গিয়ে স্বজনহারা মানুষগুলি সঙ্গে কথা বলেন।  এরপর তিনি জানান, ‘আমি রাজনৈতিকভাবে এখানে কিছু বলতে  চাই না । তবে, প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে।’  তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হবেন তিনি।

শুক্রবার সকালে হাথরসের পদপিষ্টের ঘটনায় আহত ও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। তিনি প্রথমে আলিগড়ের নভিপুর খুর্দ এবং পিলাখনা গ্রামে যান। পদপিষ্ট হয়ে মৃত শান্তি দেবী ও মঞ্জু দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন । এর পরে হাথরসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। মৃতদের পরিবারের সদস্যেরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল তাঁদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্য দিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে এখানে আমি রাজনীতি করতে চাই না। তবে প্রশাসনের তরফে অবশ্যই ঘাটতি রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই ঘটনার পর সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ওই দরিদ্র পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিক ভাবে অনুরোধ করছি।’’ প্রসঙ্গত , হাথরসে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।   
 
উত্তপ্রদেশের হাথরস জেলায় মঙ্গলবার এক সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই বিশৃঙ্খলা, আর তার জেরে ঘটে যায় পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে । হাথরসকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৬ জন।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই ‘সৎসঙ্গের সেবাদার’ ছিলেন। তবে মূল অভিযুক্ত ‘গুরুর মুখ্য সেবাদার’ দেবপ্রকাশ মধুকরের পলাতক ।
 
প্রসঙ্গত, পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং শিশু। দল কী কী ভাবে তাঁদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারে, সেটা তিনি দেখছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। হাথরসে না গিয়ে দিল্লিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস। তার পরে রাহুলের এই সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
 

হাথরসের ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর নামে সরাসরি কোনও মামলা দায়ের হয়নি। ঘটনার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ তিনি ।  পুলিশ সূত্রে খবর, এই অনুষ্ঠানে ৮০,০০০ মানুষ আসার অনুমান করেছিল আয়োজকরা। কিন্তু পরে দেখা যায়, অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। এদিকে অনুষ্ঠানে ঢোকা এবং বেরনোর জন্য মাত্র ২টি দরজার ব্যবস্থা ছিল। আর ভিড় নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় মাত্র ৭০ জন পুলিশ। কেন আগে থেকে আয়োজকরা কোনও ব্যবস্থা নিলেন না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।