মোদি ও মমতাকে আক্রমণ রাহুলের

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করতে এসে তীব্র ভাষায় কেন্দ্রের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সমালােচনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি পুরুলিয়ার ঝালদার বামনিয়া ময়দানে কংগ্রেসের জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। নিজের প্রায় কুড়ি মিনিটের বক্তৃতায় সিংহভাগ সময় তিনি শুধু নরেন্দ্র মােদিকে আক্রমণ করেন। চৌকিদার প্রসঙ্গ তুলে রীতিমতাে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, কৃষক মজুর গরিবদের চৌকিদার আসলে অনিল আম্বানিকে স্যালুট করে তাকে বলেন, ‘মে আপকা চৌকিদার হু’।

রাফাল বিমান চুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তিরিশ হাজার কোটি টাকা চুরি করে অনিল আম্বানিকে দিয়ে দিয়েছেন বলেও সরাসরি দাবি করেন রাহুল। নীরব মােদি, মেহুল চোকসির মতাে মাত্র পনেরােজন বড়লােককে পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকা নরেন্দ্র মােদি দিয়ে দেন বলে জানান তিনি। প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক খাতায় পনেরাে লক্ষ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি কিছুই দেননি। উল্টে গব্বর সিং ট্যাক্স বসিয়ে দিয়ে ছােট ব্যবসায়ীদের শেষ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি বেকারত্বের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, গত ৪৫ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি বেকারত্ব এই সরকারের সময় হয়েছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার কর্মহীন হচ্ছেন।

এদিন তিনি অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অতটা আক্রমণাত্মক হননি। শুধু বলেন, এই রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধানে কিছু করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শুধু রাজনীতি করেন। পাঁচ বছরে উন্নয়ন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে দাবি করে রাহুল বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সবাই ন্যায় পাবেন। প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢুকবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের শুন্যপদগুলিতে নিয়ােগ করে এক বছরের মধ্যে দেওয়া হবে ২২ লক্ষ সরকারি চাকরি। আলাদা বাজেট করা হবে শুধু কৃষির জন্য। তাতে কৃষকরা বুঝতে পারবেন কি কি কাজ করা হতে চলেছে তাদের জন্য।


এই সভায় কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে পুরুলিয়ার দলীয় প্রার্থী নেপাল মাহাতকে বিপুল ভােটে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। এই সভায় কংগ্রেসের প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র, পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ প্রমুখ।