গাজিয়াবাদ, ১৬ এপ্রিল -প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির ‘অব কি বার ৪০০ পার’ স্লোগানকে ফ্যুৎকারে উড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বুধবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ইন্ডিয়া জোট শরিক সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে পাশে বসিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে তিনি দাবি করেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১৫০টির বেশি আসন পাবে না।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, আমি আসনের ব্যাপারে কোনও অনুমানে বিশ্বাসী নই। আসন সংখ্যা নিয়ে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করি না। ১৫-২০ দিন আগেও আমি ভাবছিলাম বিজেপি ১৮০টির মতো আসন পেতে পারে। কিন্তু, এখন আমার মনে হয় ওরা ১৫০-র মতো আসনে জিততে পারে। আমরা প্রতিটি রাজ্য থেকে যে রিপোর্ট পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে আমাদের শক্তিশালী জোট রয়েছে। এখানে আমরা খুবই ভালো ফল করব, দাবি রাহুলের।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে এনডিএ। যদিও রাহুল গান্ধির দাবি, ৪০০ আসন তো দূরের কথা, ১৫০ আসনও পার করতে পারবে না এনডিএ তথা বিজেপি। এছাড়াও কংগ্রেসের ইস্তেহার তুলে ধরার পাশাপাশি বিজেপি শাসনে দেশের বেহাল পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মোদি সরকারকে সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধি। একইসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলেন কেন এবার আমেঠি আসন থেকে ভোটে লড়ছেন না কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বুধবার উত্তর প্রদেশে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। সেখানে সপা প্রধান অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে নিশানা করেন রাহুল। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসলে দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন।” ব্যাখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, “নির্বাচনী বন্ড নাকি স্বচ্ছতার জন্য আনা হয়েছিল। তাই যদি হবে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করল কেন ? কে, কত, কবে টাকা দিল, এই তথ্যগুলো কেন লুকিয়ে রাখা হল।” এরপরই সুর চড়িয়ে বলেন, “কোনও সংস্থা বড় অর্ডার পেলে, কিংবা সংস্থার অফিসে ইডি-সিবিআইয়ের অভিযান চললে কয়েকদিনের মধ্যে বিজেপিকে টাকা দিয়ে দিচ্ছে সংস্থাগুলি। একেই তোলাবাজি বলে।”
সপা নেতা অখিলেশের গলাতেও ছিল একই সুর। তিনি এদিন বলেন, আজ সবাইকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানাই। কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করছে, এতে আমি খুব খুশি। ইন্ডিয়া জোট গাজিয়াবাদ থেকে গাজিপুর পর্যন্ত বিজেপিকে মুছে দেবে। আজকের দিনে বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে কৃষকরা আশাহত। নির্বাচনী বন্ডের কেলেঙ্কারিতে বিজেপির ব্যান্ড বেজে গিয়েছে। দেশের সমস্ত ভ্রষ্টাচারীদের একত্রিত করেছে বিজেপি। ওরা শুধু দুর্নীতিগ্রস্তদেরই দলে নিচ্ছে, তাই নয়। দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছ থেকে তোলাবাজিও করছে বলে মন্তব্য করেন অখিলেশ।