প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে এক ফাঁকা বুলি বলে আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।তামিলনাড়ুর এক নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধী বলেন,বিগত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেকার যুবকদের শুধু হতাশ করেননি,তাদের অপমানও করেছেন। পাঁচ বছরের শাসনকালে নরেন্দ্র মোদি যে পরিমাণ ব্যাংক ঋণ বড় বড় ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন তার ছিটেফোঁটাও বেকার যুবকদের স্বনির্ভর প্রকল্পে দেননি।ফলে দেশের যুবকরা যে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা গঠন করে নানান পণ্য উৎপন্ন করবে তারও সুযোগ পায়নি।অন্যদিকে চিন এই সুযোগে তাদের স্বল্পমূল্যের পণ্য নিয়ে হাজির করেছে ভারতের বাজারে।দেশের দরিদ্র মানুষ চিনের তৈরি পণ্যগুলির গুনাগুন বিচার করার সুযোগ পর্যন্ত পাচ্ছেন না।তাদের কাছে স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়াটাকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার মধ্যে আঞ্ছেন।ফলে মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান এখন পরিণত হয়েছে।বাজারে জুতো থেকে স্মার্টফোন সবই চিনের তৈরি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতের বেকার যুবকরা কোন উদ্যোগ শুরু করতে চাইলে তাদের সরকারের বিভিন্ন বিভাগে শুধু হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এমনকি তাদের কাছে উৎকোচ যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।এই হয়রানির ফলে বেকার যুবকরা ব্যবসা শুরুর সব উৎসাহ হারাচ্ছেন।রাহুল জানান,কংগ্রেস বেকার যুবকদের ব্যবসায় উৎসাহিত করতে নির্বাচনী ইশতেহারে নতুন দিশা নিয়ে হাজির।কোন বেকার যুবক কোনও নতুন ব্যবসা বা উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করতে চাইলে প্রাথমিকভাবে তাকে তিন বছর পর্যন্ত সময় কোন সরকারি অনুমতি নিতে হবে না।এরপর ব্যবসাটি একটি আকার পেলে তখন সরকারি অনুমতি নিলেই চলবে।
মোদির জমানায় কৃষকদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে রাহুল জানান, তামিলনাড়ুর কৃষক ভাইয়েরা যখন দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নাবিক্ষোভে শামিল হলেন,তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের জন্য একটি কথাও বলার সময় পেলেন না।কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খালি গায়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।কিন্তু তাতেও প্রধানমন্ত্রীর কোনও সৌজন্য দেখানোর ফুরসৎ হলো না জানার- কেন তাঁরা এমন হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
কিন্তু সে সময়ে দেশের দুর্নীতিপরায়ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গলাগলি করতে তাঁর সময়ের অভাব হয়নি বলে রাহুল কটাক্ষ করেন।
দেশের ব্যবসা বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলি জিএসটির নামে ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ চালু করায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।তিনি বলেন,নরেন্দ্র মোদী ‘এক দেশ এক কর ব্যবস্থা’ কায়েমের নামে জিএসটি চালু করে।কিন্তু তাতে একটি কর নয় পাঁচটি কর দিতে হচ্ছে মানুষকে।এমনকি তাঁতীদেরও সুতো বা সরঞ্জাম কিনতে ২৮শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছিল।তিনি বলেন,কংগ্রেস দল মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এলে বর্তমান জিএসটি বাতিল করে ‘প্রকৃত জিএসটি’ এক কর ব্যবস্থা এবং সরল কর ব্যবস্থা চালু করবে।