• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কংগ্রেসে জনগণের শাসন চলে,বিজেপি শাসনে অনিল আম্বানি বস: রাহুল

দলীয় প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন , ' ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে ঋণ মেটাতে না পারার জন্য কৃষকদের জেলে ঢােকানাে হবে না । এক বছরের মধ্যে ২২ লাখ যুবককে চাকরি দেওয়া হবে । পঞ্চায়েতে ১০ লাখ যুবককে নিয়ােগ করা হবে । যুবকদের ব্যবসা শুরু করার প্রথম তিন বছর কোনও অনুমতি  নিতে হবে না

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS/AICC)

পঞ্চম দফা ভােটের আগে আমেঠি বাসীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস সভাপতি লােকজনকে ‘ আমার অমেঠি পরিবার ’ বলে সম্বােধন করে আর্জি জানিয়ে বলেন , ‘আপানারা ভােট দিয়ে ফের আমাকে সাংসদ নির্বাচিত করুন । দল সরকার গঠনের পর দ্রুত স্কিমগুলাে বাস্তবায়িত করা হবে – অমেঠির মানুষের দরবারে এটা আমার প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি । যে স্কিমগুলাে আটকে রেখেছে তা দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে।৬ মে , আপনারা ব্যাপক হারে ভােট প্রদান করে আমাকে ফের সাংসদ নির্বাচিত করুন।’

লােকসভা নির্বাচনে দলের প্রচারে রাহুল গান্ধিকে এবারও অমেঠিতে দেখা যায় নি। তাঁর হয়ে বােন প্রিয়াঙ্কা প্রচার চালিয়েছেন । লােকসভা নির্বাচনে ভােটার টানতে বিজেপি ’ নগদ টাকা ’ ছড়াচ্ছে ও ডাহা মিথ্যের কারখানা গড়ে তুলেছে বলে অভিযােগ করে লেখেন , ‘সততা , অখন্ডতা ও সরলতা অমেঠির শক্তি । দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে যােগদানের পর ২০০৪ সাল থেকে অমেঠি রাহুল গান্ধিকে ভােট দিয়ে এসেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে অমেঠি কেন্দ্রে বিজেপি ’ স্মৃতি ইরানিকে প্রার্থী করার পর কংগ্রেসের ভােটে লক্ষণীয় ভাঙন ধরেছিল,যা কংগ্রেসকে রীতিমতাে চিন্তায় ফেলেছে। বিজেপির তরফে অভিযােগ করে বলা হয়েছে , অমেঠি। হাতছাড়া হতে পারে ভয়ে কংগ্রেস সভাপতি ওয়ানাড় থেকেও ভােটে দাড়িয়েছেন । কংগ্রের সভাপতি রাহুল গান্ধি লেখেন ,অমেঠি আমার পরিবার , আমার শক্তি , – ওরাই  সাহস জুগিয়েছে , আমি সত্যের পথে দাড়িয়ে । আমি গরিব ও দুর্বলদের কষ্ট শুনতে পাই । তাদের হয়ে কথা বলতে পারি , তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দাবি জানাতে পারি। তিনি লেখেন,’কংগ্রেস দেশের কৃষক , যুবক , দুর্বল , মহিলা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে সওয়াল করে।

বিজেপি হাতে গােনা শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় । কংগ্রেসের শাসন ব্যবস্থায় জনগণের শাসন ’ চলে , বিজেপি ’ তে ‘ অনিল আম্বানি বস ’|
দলীয় প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন , ‘ ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে ঋণ মেটাতে না পারার জন্য কৃষকদের জেলে ঢােকানাে হবে না । এক বছরের মধ্যে ২২ লাখ যুবককে চাকরি দেওয়া হবে । পঞ্চায়েতে ১০ লাখ যুবককে নিয়ােগ করা হবে । যুবকদের ব্যবসা শুরু করার প্রথম তিন বছর কোনও অনুমতি  নিতে হবে না । তিনি বলেন , ‘ ক্ষুব্ধ হবেন না , প্রতিবছর ৭২ , ০০০ টাকা আপনাদের ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ন্যূনতম আয় প্রকল্প  দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে । নােট বন্দির ফলে দেশের অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে।মানুষের ব্যাঙ্কে টাকা থাকলে সে ওই টাকা প্রয়ােজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য ব্যয় করতে পারবেন,যা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে পারে ।