• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভোটের আগে রাজস্থানে কংগ্রেসের মেগা জনসভায় উপস্থিত রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা

মমতা ক্রমেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ হয়ে উঠছেন।এই প্রবণতার বিরুদ্ধেই কংগ্রেস এদিন শক্তিপ্রদর্শন করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

কংগ্রেসের রি ব্র্যান্ডিং হয়েছে। রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে কংগ্রেসের ‘মেগা র্যালি’-র মাধ্যমে এই বার্তাই দেওয়া হবে ভোটারদের উদ্দেশে। সেখানে নেহরু-গান্ধী পরিবারের তরুণতর প্রজন্মের দুই বঢ়রা নেতা-নেত্রী রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী উপস্থিত থাকবেন। সেই সঙ্গে থাকবেন কংগ্রেস শাসিত প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যর্থতার’ বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করবেন রাহুল ও অন্যান্য বক্তা। মুদ্রাস্ফীতি তথা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলবেন তাঁরা। আগামী বছরে সাতটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে।

তাদের মধ্যে আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাত। এছাড়া আছে উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। এদিন জয়পুরে কংগ্রেসের মহামিছিল থেকেই ওই রাজ্যগুলিতে প্রচারের সুর বেঁধে দেওয়া হবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল বলে এতদিন গুরুত্ব পেয়ে এসেছে কংগ্রেস। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে কংগ্রেসের সেই অবস্থান ক্রমশই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ হয়ে উঠছেন। এই প্রবণতার বিরুদ্ধেই কংগ্রেস এদিন শক্তিপ্রদর্শন করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট বলেন, এদিনের ‘মাহেঙ্গাই হাটাও’ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের পতনের সূচনা হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রে বিজেপি সরকারই দায়ী।

শচীন পাইলট বলেন, বিজেপি সরকারের সাত বছরের অপশাসনের জন্যই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। শচীন পাইলটও জয়পুরের সভার মঞ্চে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।