পাটনা, ৯ ফেব্রুয়ারি– অবশেষে স্বস্তিতে লালু পরিবার৷ দিল্লির আদালত থেকে রেলের জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন রাবড়ি দেবী৷ জামিন পেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দুই কন্যা মিসা ভারতী ও হেমা যাদবও৷
জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে ইডি৷ রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই কন্যা ছাড়াও অমিত কাটওয়াল ও হূদ্যানন্দ চৌধুরির নাম ছিল তদন্তকারী সংস্থার নোটিসে৷ সেই মামলাতেই চার্জশিট পেশ করে ইডি৷ দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে চলছে এই মামলার বিচার৷ ইডির চার্জশিটের ভিত্তিতেই দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে তলব করা হয় রাবড়ি ও তাঁর দুই কন্যাকে৷ শুক্রবারই তাঁদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷
শুনানির সময় ইডির তরফে জানানো হয়, জামিনের আবেদনের উত্তর দিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে তাদের৷ এই সওয়ালের উত্তরে আদালতের মত, মামলায় এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্তদের৷ তাই ইডির জবাব অবশ্যই প্রয়োজন৷ তার পরেই জামিনের আবেদন করেন লালুপত্নীর আইনজীবী৷ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক বিশাল গোগনে৷ ওইদিনই এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা আছে৷
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু৷ সেই সময় তিনি জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি দিতেন, অভিযোগ এমনই৷ ২০২২ সালের ১৮ মে সিবিআই একটি মামলা দায়ের করে৷ সেই মামলায় দাবি করা হয়, এক বেসরকারি সংস্থার নামে সম্পত্তি কিনে তার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল৷ পরে সেই সম্পত্তি বাজারদরের থেকে কমে কিনে নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের সদস্যরা৷
