• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মোদিজি উদ্বোধন করলে, মূর্তি স্পর্শ করলে আমি সেখানে গিয়ে হাততালি দেব?: পুরীর শঙ্করাচার্য 

কটক, ৪ জানুয়ারি– ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন। সেই দিন প্রায় গোটা দেশ জুড়েই উৎসবের আবহে মেতেছে বিজেপি। উদ্বোধনে অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন দেশের তাবড়-তাবড় রাজনীতিক থেকে শুরু করে গন্যমান্য অতিথি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ রাজনীতির রঙ দেখেই এই অতিথিদের তালিকা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা নিয়েও অবশ্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে

কটক, ৪ জানুয়ারি– ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন। সেই দিন প্রায় গোটা দেশ জুড়েই উৎসবের আবহে মেতেছে বিজেপি। উদ্বোধনে অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন দেশের তাবড়-তাবড় রাজনীতিক থেকে শুরু করে গন্যমান্য অতিথি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ রাজনীতির রঙ দেখেই এই অতিথিদের তালিকা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা নিয়েও অবশ্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলছে থাকা-না থাকার টানা পোড়েন। এরই মাঝে এবার পুরীর জগন্নাথপুরী মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী নতুন সংযোজন। স্বামী নিশ্চলানন্দ রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে চলতে থাকা রাজনীতি নিয়ে রাখ-ঢাক না করেই জানালেন, ‘রাজনীতি না করে শাস্ত্র অনুযায়ী অযোধ্যায় রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত’।

উল্লেখ্য, স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী হলেন দারভাঙ্গার মহারাজার রাজ পুরোহিতের ছেলে।

আগামী ২২ জানুয়ারি সব কিছু ঠিক থাকলে মন্দিরের গর্ভগৃহের সিংহাসনে রামলালার মূর্তি নিজ হাতে স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাম জন্মভূতি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

ওই প্রসঙ্গেই বুধবার রতলামের ত্রিবেণীর তীরে হিন্দু জাগরণ সম্মেলনে বক্তৃতা করতে আসার সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ বিজেপির এই তোড়জোড়কে একপ্রকার কটাক্ষ করে প্রকারন্তরে বোঝাতে চেয়েছেন, শাস্ত্র মেনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান না হলে সেখানে তিনি উপস্থিত থাকেন না। কারণ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি  উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন কি না? শঙ্করাচার্য  নিশ্চলানন্দ বলেন, “যা খবর পাচ্ছি তাতে যদি মোদিজি উদ্বোধন করেন, মূর্তি স্পর্শ করেন, তাহলে আমি সেখানে গিয়ে কী করব? হাততালি দেব?” খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই। তাঁর কথায়, “আমার পদেরও মর্যাদা আছে। রাম মন্দিরে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা  শাস্ত্র অনুযায়ী করা উচিত।” তিনি আরও বলেন,  “ধর্মীয় স্থানকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এভাবে ধর্মের সঙ্গে ভোগ-বিলাসকে জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়। রাম মন্দির নিয়ে যে ধরনের রাজনীতি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।”