বাঙালির সেরা ডেস্টিনেশনই বলুন আর সেরা ধর্মস্থলই বলুন পুরীর নাম সবার ওপরে। সেই জগন্নাথ ধামের মহাপ্রসাদ পেতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে একটুও অরাজি নন তারা। উৎসব থাকলে প্রতিদিন ভক্তসংখ্যা পৌঁছয় দেড় থেকে দু’লাখে! সাধারণ দিনেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ভিড় করেন।কিন্তু এবার যে খবর ওড়িশার আইনমন্ত্রী দিয়েছেন তা শুনলে আনন্দে নাচতেও ইচ্ছে হতে পারে আপনার।
পুরি মন্দিরের মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে ভক্তদের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন। গৃহহীন ও দরিদ্ররাও পাবেন এই মহাপ্রসাদ।
২০১৭ সালেও এমন একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন যদি আবার ভক্তদের বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ভালই হয়, এমনটাই মনে করছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সুয়ারা-মহাসুয়ারা নিযোগের সভাপতি পদ্মনাভ মহাসুয়ারা।
পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ পেতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এই কথা উল্লেখ করে পৃথ্বীরাজ জানান, ‘শীঘ্রই তাঁদের বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে’।
এত মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়া যে বেশ কঠিন কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ প্রসঙ্গে মন্দিরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দিতে গেলে দু’টি বিষয় হতে পারে। এক, সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি প্রসাদই ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হতে পারে। অথবা, সরকার উদ্যোগ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে মহাপ্রসাদ তৈরি করে ভক্তদের বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু ঠিক কী করা হবে, তা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি’। যদিও রীতি অনুযায়ী জগন্নাথকে নিবেদনের যে প্রসাদ, তা বিক্রির জন্য নয়। কিন্তু সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি মহাপ্রসাদ মন্দিরের ভিতরেই আলাদা করে বিক্রি হয়। ভক্তদের সংখ্যা এবং চাহিদার উপর এই প্রসাদের দাম নির্ভর করে ।