‘দানা’র সম্ভাব্য ল্যান্ডফল ওড়িশায়, বন্ধ হল পুরীর মন্দিরের দরজা

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঘড় ‘দানা’। মৌসম ভবনের এই ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসেছে ওড়িশা প্রশাসন। দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারক সূর্য মন্দির। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা এবং বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ভিতরকণিকা-ধামরার কাছে পুরী এবং সাগরদ্বীপের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে। এর গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।  সেই পূর্বাভাস মেলার পরই পুরীতে প্রায় সব হোটেল খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বুধবার রাতের মধ্যেই পুরী ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে পুরী জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারক সূর্য মন্দির বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই নির্দেশ মেনে বুধবারই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুরীর মন্দির। অন্যদিকে ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে ১৩টি জেলায় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬টি জেলা অত্যন্ত সংবেদনশীল বলেও জানানো হয়েছে। বালাসোর, ভদ্রক, পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, এবং ময়ূরভঞ্জে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলেও মৌসম ভবন সূত্রে খবর।
 
ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫১টি ওডিআরএফ টিম বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ২০টি এনডিআরএফ টিম বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।  ওড়িশায় বাতিল করা হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪ জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে।