ভুবনেশ্বর, ৮ জানুয়ারি – পর্যটকদের জন্য সুখবর, চোখের পলকে ঘন্টা সময়ের মধ্যে পৌঁছনো যাবে পুরী। হিসেব কষলে দেখা যাবে এই বিমানবন্দর নির্মাণ হলে কলকাতা থেকে পুরী যেতে সময় লাগবে বড়জোড় এক ঘণ্টা। সূত্রের খবর, জগন্নাথধামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা আরও এগিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে। তার কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে নির্মাণকাজ। সোমবার এই সুখবর দেন ওডিশার এক সরকারি আধিকারিক। মোট ১১৬৪ একর জমির উপর পুরীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬৮ একর জমি এখনও বনভূমি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিমানবন্দর নির্মাণ করতে ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত জমির মধ্যে রয়েছে সিপাসরুবালিতে ১৫৩. ৩৭ একর এবং সন্ধ্যাপুরে ৬৮.১১ একর জমি। তবে পুনর্বাসনের প্রয়োজনেই এই জমিগুলিতে কোনও বাসস্থান নেই। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ৯৬১ একর জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ২২১.৪৮ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ আধিকারিক আরও বলেন, ‘আরও কিছু ক্লিয়ারেন্স বাকি রয়েছে। এরপরই নির্মাণকাজ শুরু হবে। গত বছরই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে এই প্রজেক্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র মিলেছে।’
পুরীর নিকটতম বিমানবন্দর বলতে এখন ভুবনেশ্বরে বিজু পট্টনায়েক এয়ারপোর্ট। তবে পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হলে লক্ষ লক্ষ জগন্নাথ ভক্তদের কাছে বিরাট এক আশীর্বাদ। প্রসঙ্গত, পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরী করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। প্রধানমন্ত্রীও সেই প্রস্তাবে ইতিবাচক জবাব দেন। তারই ফল হিসেবে নতুন বছরেই শুরু হতে চলেছে জগন্নাথ ধামের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ।
প্রতিদিন পুরীতে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ থেকেও বিমানে চেপে জগন্নাথধামে পৌঁছন পুণ্যার্থীরা। বিমানপথে যারা পুরীতে যান, তাঁদের ভুবনেশ্বরে নেমে সেখান থেকে গাড়িতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সফর করে যেতে পুরীর মন্দিরে। ফলে পুরীতেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ হলে পর্যটকদের খুবই সুবিধা হযে তা বলাই বাহুল্য।