দিল্লি, ২৮ মার্চ – লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী করেনি পিলিভিটের বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধিকে।পিলিভিটে বিজেপির প্রার্থী এবার উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী জীতিন প্রসাদ।এই পরিস্থিতিতে বরুণ গান্ধি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়তে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পিলিভিটের ভোটদাতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন বরুণ। বরুণ তাঁর সাংসদ এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশে লিখেছেন, সাধারণ মানুষের কথা বলতে রাজনীতিতে এসেছিলাম। তার জন্য সাজা পেতে হলেও আজীবন মানুষের স্বার্থে কথা বলে যাব। লড়াই করব, আপনাদের পাশে থাকব। আমার দরজা আগের মতোই উন্মুক্ত থাকবে। টানা পনেরো বছর তিনি পিলিভিটের সাংসদ। যদিও মা মেনকা গান্ধি সুলতানপুরে আবার টিকিট পেয়েছেন।
দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার নানা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বরুন গান্ধি। কৃষক আন্দোলন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারি বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন জনহিতকর ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় বরুণ গান্ধিকে যে এবার টিকিট দেওয়া হবে না তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই। তবে নানা মহলে জল্পনা ছিল টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহ করতে পারেন বরুণ। বিদ্রোহের পথ এখনই না নিলেও বৃহস্পতিবার সকালে পিলিভিটবাসীর উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খোলার জন্যই তাঁকে শাস্তি পেতে হল। টিকিট না পাওয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি তাঁর সাজা হিসাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন।
বরুণ গান্ধি চিঠিতে পিলিভিটের সঙ্গে তাঁর আশৈশব সম্পর্কের বন্ধনের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আজ যখন আমি এই চিঠি লিখছি, অসংখ্য স্মৃতি আমাকে আবেগপূর্ণ করে তুলছে। যখন ১৯৮৩ সালে প্রথম বার তাঁর মায়ের সঙ্গে পিলিভিটে তিন বছরের শিশুটি এসেছিল, তখন কী সে জানত যে এক দিন এই মাটিই তার কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠবে। আর এখানকার মানুষ হয়ে উঠবেন তার পরিবারের অংশ।’’
পিলিভিটের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বলে উল্লেখ করেন বরুণ। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘সাংসদ হিসাবে আমার মেয়াদ শেষ হতে চললেও, পিলিভিটবাসীর সঙ্গে সম্পর্ক জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অটুট থাকবে।’’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বরুণ তাঁর নির্দল প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনায় ইতি টানলেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।