২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল পুণের নাবালক ঘাতকের 

পুণে, ২২ মে – পুণেয় বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ির ধাক্কায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক চালকের ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হল। বুধবার মহারাষ্ট্র পরিবহণ দপ্তর অভিযুক্ত নাবালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা জানান, ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ১৭ বছরের ওই কিশোর  ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না।অন্যদিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রাতে বারে ৪৮ হাজার টাকার বিল করেছিল নাবালক। সেই বিল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

 মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত কিশোরের বাবা  ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়ালকে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’টি বারের মালিককে। ঘটনার দিন ওই নাবালককে মদ সরবরাহ করা হয়েছিল ওই দুই বার থেকে। পুলিশে তদন্তে জানা গিয়েছে, ৪৮ হাজার টাকা বিল হয়েছিল বারে। বিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 
আদালত সূত্রে জানা গেছে , রবিবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কোরেগাও পার্কে। ১৭ বছরের কিশোরের বিলাসবহুল গাড়ি ২০০ কিমি গতিতে ছুটছিল। সেটি ধাক্কা মারে উলটো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইকে। এর জেরে মৃত্যু হয় দুই বাইক আরোহী আনিস অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোষ্টার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অশ্বিনীর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আনিসের। ১৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক শর্তে ১৭ বছরের কিশোরকে জামিন দেয় জুভেনাইল আদালত।  অভিযুক্ত নাবালককে ১৫ দিন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে,  ভবিষ্যতে দুর্ঘটনাগ্রস্তের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং দুর্ঘটনা নিয়ে ৩০০ শব্দের রচনা  লিখতে হবে।
 পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেন, ‘রবিবার রাত ১০টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ পুনের কোসি নামে একটি পানশালায় গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক ও তার বন্ধুরা। সেখানে ৪৮ হাজার টাকার বিল পেমেন্ট করে সে। এরপর দ্বিতীয় পানশালার উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। মধ্যরাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় পানশালা ব্ল্যাক ম্যারিয়টে যায় তারা। কোসিতে অতিরিক্ত মদ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাক ম্যারিয়টে যায় অভিযুক্ত নাবালক।’
পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে পুনে পুলিশ মঙ্গলবার মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জন্য ১৮৫ ধারা এবং মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের আওতায় ১৭ বছরের নাবালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
উদ্ধবপন্থী শিবসেনা গোষ্ঠী সাংসদ সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ, পুনে পুলিশ এই পোর্শে মামলায় পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। এ প্রসঙ্গে এসিপি বলেন, ‘আমি যে কোনও আইন বিশেষজ্ঞকে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। আমাদের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ যাচাই করে দেখা হোক কোথায় পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হচ্ছে।’
এই মামলায় সোচ্চার হয়েছেন রাহুল গান্ধি।তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন এই অভিযুক্ত নাবালককে বিশেষ ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।