প্রিয়াঙ্কার গোয়া সফরের মধ্যেই কংগ্রেসে ভাঙন, বিক্ষুব্ধদের গলায় তৃণমূলের সুর

শুক্রবার গোয়া সফরে গেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তার মধ্যেই ফের ভাঙন কংগ্রেসে। এদিন সকালেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পরভোরিম বিধানসভা কেন্দ্রের অনেক নেতা। যে নোরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের গলাতেও তৃণমূলের সুর।

ওই কেন্দ্রের তার কংগ্রেস নেতা ওপেশ নায়েক বলেন, বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে সিরিয়াসনেস দরকার, কংগ্রেসের শরীরি ভাষায় সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, কংগ্রেসের এই গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য সুবিধা পেয়ে যাবে বিজেপি।

যদিও জেলা পরিষদের এই প্রাক্তন সভাধিপতি তৃণমূলে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, তার সঙ্গে যে কংগ্রেস নেতারা আছেন, দল ছেড়ে তারা সবাই ওই কেন্দ্রে গতবারের জেতা নির্দল বিধায়ক রোহন খাউত্তেকে সমর্থন করবেন।


একই সঙ্গে দক্ষিণ গোয়া থেকে মোরেনো রেবেলো কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার গোঁসা, কেন তাকে প্রার্থী করেনি দল। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে গতবারের জেতা বিধায়ক অ্যালেক্সিও রেগিনাল্ডো লরেন্সিওকে।

মোরেনোর বক্তব্য, এই অ্যালেক্সিও গত চার বছর ধরে দলের কোনও কাজে ছিলেন না তার ওপর জেলা পরিষদের ভোটের সময় কংগ্রেস প্রার্থীকে হারাতে ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাকেই কেন দল প্রার্থী করলো?

গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে ইতিমধ্যে জোট ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এই আঞ্চলিক দলটির সভাপতি বিজয় সরদেশাই দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন।

গোয়া কংগ্রেসের ইন-চার্জ পি চিদম্বরম বলেছেন, কে কোথায় কী দাবি নিয়ে দল ছাড়লো তা বলা মুশকিল। অনেকের অনেক দাবিই থাকতে পারে। এখন জিএফপি-কংগ্রেস জোটের লক্ষ্য হচ্ছে।বিজেপি কে গদিচ্যূত করা। তারা সেই লক্ষ্যেই এগোবে।

আগামী কয়েকদিন গোয়ায় থাকবেন প্রিয়াঙ্কা। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা যেদিন গোয়া থেকে ফিরছিলেন, সেদিনই গোয়া সফরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধিও। এ মাসেই আবার গোয়া যাওয়ার কথা মমতা ও অভিষেকের। সব মিলিয়ে পশ্চিম উপকূলের ছোট্ট রাজ্যটিতে ভোট একেবারে জমজমাট।