লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গান্ধী। বৃহস্পতিবার শপথ নেন তিনি। এই উপলক্ষে প্রিয়াঙ্কার পুরো পরিবার সংসদে উপস্থিত ছিল। মা সনিয়া গান্ধী, ভাই রাহুল ছাড়াও স্বামী রবার্ট, ছেলে রেহান এবং মেয়ে মিরায়াও সংসদ ভবনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি ক্রিম রঙের শাড়ি পরে সংসদ ভবনে যান। সকাল .১১টায় লোকসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে সাংসদ হিসাবে শপথ নেন তিনি। শপথ গ্রহণের সময় প্রিয়াঙ্কার হাতে সংবিধানের একটি কপি ছিল, যা তিনি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেখাচ্ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা হিন্দি ভাষায় শপথ নেন।
শপথ নেওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রথম সারিতে বসা বিরোধী নেতাদের হাত জোড় করে শুভেচ্ছা জানান প্রিয়াঙ্কা। লোকসভার বিরোধী দলের নেতা এবং তাঁর ভাই রাহুল গান্ধীও হাতজোড় করে তাঁর অভিবাদন গ্রহণ করেন।
শপথ নেওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা বিরোধী সাংসদের জন্য নির্ধারিত আসনের চতুর্থ সারিতে গিয়ে বসলেন। প্রথম সারিতে বসেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সংসদীয় যাত্রা শুরু দিনেও যথেষ্ট হইচই হয় সংসদে। শপথ গ্রহণের পর কার্যক্রম শুরু হলেই বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। হট্টগোল দেখে স্পিকার বেলা ১২টায় কার্যক্রম মুলতবি করেন।
প্রিয়াঙ্কা লোকসভায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদরা তাঁকে ঘিরে ফটো এবং সেলফি তুলতে শুরু করেন। মিসা ভারতী, দীপেন্দর হুডা এবং শশী থারুর সহ অনেক সাংসদ তাঁর সাথে দেখা করন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে, প্রিয়াঙ্কা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করিকে শুভেচ্ছা জানান। গ্যালারিতে বসে থাকা সনিয়া গান্ধী ও তাঁর শাশুড়িকেও শুভেচ্ছা জানান প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কেরলের ওয়েনাড আসন থেকে চার লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও মহারাষ্ট্রের নান্দেদ লোকসভা আসন থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্র বসন্তরাও চ্যাবনও আজ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। মারাঠি ভাষায় শপথ নেন তিনি।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গান্ধী-নেহরু পরিবারের তিন সদস্যকে সংসদে দেখা যাবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাই রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা এবং তাঁর মা সনিয়া গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ। প্রথমবারের মতো কোনও হাউসের সদস্য হলেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন ৫ বছর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়। এরপর থেকে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।