কেরলের ওয়েনাড লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস ঝড়। বড় ব্যবধানে এগিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিজেপির নব্যা হরিদাসকে ৮৫ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ওয়েনাড থেকে মোট ১৬ জন প্রার্থী ভোটে লড়েছিলেন।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলের দিকে এগোচ্ছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বড় ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে শুরুতে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও গণনা যত এগোচ্ছে, লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। ‘ইন্ডিয়া’ এবং এনডিএ-র মধ্যে ব্যবধান কমছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২০টি আসনে এগিয়ে, কংগ্রেস ১০টি আসনে এগিয়ে, বিজেপি ২১টি আসনে এগিয়ে, আরজেডি ৫টি এবং সিপিআইএমএল ২টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপি ১০০টি আসনে এগিয়ে, কংগ্রেস এগিয়ে ১৭টি আসনে। এনসিপি ৩৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৫৩টি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ১৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, কেরলের ওয়েনাড লোকসভা উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। বিজেপির নব্যা হরিদাসকে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
২৮৮ আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে এবার এক দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে লড়াই দুটি জোটের মধ্যে – মহা বিকাশ অঘাদি (এমভিএ) এবং শাসক মহায়ুতি। এমভিএ-তে আছে কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার)। মহায়ুতিতে আছে – একনাথ শিন্ডের শিব সেনা, বিজেপি এবং অজির পাওয়ারের এনসিপি।
৮১ আসনবিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় দু’দফায় – ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর ভোট হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ইন্ডিয়া জোটের অংশ। ইন্ডিয়া জোট ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিজেপি ছাড়াও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।