নাটকীয় ঘােষণা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী চরিত্র। গভীর রাতে নােটবন্দির ঘােষণা হােক কিংবা জিএসটি লাণ্ডর ঘােষণা- সবটাতেই ছিল অতি নাটকীয়তার উপাদান।
সােমবার রাত ন’টা নাগাদ হঠাৎই এমনই এক নাটকীয় ঘােষণা করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মাত্র দু’লাইনের একটি টুইট এবং তাতেই সারা দেশে কৌতুহলের বন্যা বয়ে যায়।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ভাবছি আগামী রবিবার থেকে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারের মতাে সমস্ত সােশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে যাব। আপনাদের জানিয়ে দেব।
এই দুই লাইনের টুইটেই সারা দেশে জল্পনা এখন তুঙ্গে যে কেন হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী সােশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানাতে উদগ্রীব হয়ে উঠলেন। প্রধানমন্ত্রীনা জানানাে পর্যন্ত এই নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকবে। কারণ মানুষ জানে যে সােশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রধানমন্ত্রী এতটাই অ্যাকটিভ তিনি হঠাৎ সােশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
প্রসঙ্গত, তাঁর ছয় বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তিনি কোনাে সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। প্রত্যেকটি বিষয়ে তার মতামত জানার একটিই মাধ্যম ছিল এবং সেটা ছিল সােশ্যাল মিডিয়া। এখন তাঁকেও বিদায় জানাচ্ছেন তিনি।