দুদিন পর ধ্যানভঙ্গ হল প্রধানমন্ত্রী মোদির  

দিল্লি, ১ জুন – প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে ধ্যান করে শনিবার দুপুরে ধ্যান ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি । পরনে আকাশি কুর্তা আর  সাদা ধুতি,  বেরিয়ে এলেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন মোদি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত  ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী। দুদিনই  মৌনব্রত  নেন মোদি। এই দুদিন  তরল জাতীয় খাবার খেয়েছেন।
 
শনিবার লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় দেশে । দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচনে ব্যস্ত , সেই সময়ই ধ্যানে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৩০ মে সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ধ্যানে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ৪৫ ঘণ্টা ধরে ধ্যান করছেন তিনি। ধ্যানের সময় সম্পূর্ণ মৌনব্রত পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কোনও খাদ্য গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি । শুধুমাত্র ডাবের জল, আঙুরের রস পান করছেন তিনি।
 
দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ প্রকাশ্যে  আসে এক সংবাদ সংস্থার ভিডিও। দেখা  যায় , মন্দির থেকে ধুতি-কুর্তা পরে বেরিয়ে আসছেন মোদি। গলায় সাদা-লাল উত্তরীয়। পায়ে জুতো। দুই পাশে রয়েছেন দুই নিরাপত্তারক্ষী। এরপর লঞ্চে বসে সাগর পার হচ্ছেন তিনি।তাঁকে সূর্য প্রণাম, প্রাণায়াম, কমণ্ডলু এবং রুদ্রাক্ষ হাতে যপ করতে দেখা গেল। স্বামী বিবেকানন্দের হাতে মাথা নত করে প্রণামও করলেন তিনি।
 
এর আগে শনিবার সকালে কন্যাকুমারীতে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ভিডিওটি প্রকাশ করে বিজেপি। সেখানে দেখা যায়, মোদির পরনে গেরুয়া ধুতি-কুর্তা। গলায় গাঢ় গেরুয়া উত্তরীয়। হাতে জপমালা নিয়ে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে পায়চারি করছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
ভিডিওতে আরও দেখা যায় , সূর্যোদয়ের সময় সূর্যাঘ্য দিচ্ছেন মোদি। কখনও তিনি বেদির সামনে বসে প্রাণায়াম করছেন, কখনও বা  জপ করছেন। কখনও আবার হাঁটছেন মেমোরিয়াল চত্বরে। বিবেকানন্দের বিগ্রহের পায়ে ফুল সাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তারপর বিগ্রহের চার পাশে ঘুরে আবার বসেছেন ধ্যানে।
হাতে সর্বক্ষণ রয়েছে রুদ্রাক্ষের মালা। পরনে গেরুয়া বসন। একদিকে যখন বারাণসীতে ভোট চলছে, অন্যদিকে তখন কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ভিন্ন অবতারে নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তাঁর ধ্যান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রীর একটি নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল।
 
মোদির এই ধ্যান নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, এতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে। বিজেপির সাংসদ তথা মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মোদি  ভারতের সাংস্কৃতিক নীতিতে বিশ্বাসী। আর সেই সংস্কৃতি দেশের মন্দিরে প্রতিফলিত হয়। বিরোধীরা এ সব বুঝবে না, কারণ, তারা সনাতন ধর্ম নির্মূল করতে চায়।