• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

দেশজুড়ে চরম আকার নিয়েছে কৃষক আন্দোলন। এমনকি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: Twitter/@BJP4India)

দেশজুড়ে চরম আকার নিয়েছে কৃষক আন্দোলন। এমনকি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু সেই বিতর্কিত আইন নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। শনিবারও এফআইসিসিআইয়ের ৯৩ তম সাধারণ সভার উদ্ভোধনেও সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। 

শনিবার তিনি বলেন, কোনও বাণিজ্য ক্ষেত্রের মধ্যে যদি অপ্রয়ােজনীয় বাধা তৈরি হয়, তাহলে সেটি কোনও দিনই নিজের মতাে করে গড়ে উঠতে পারে না। তারপরেই তিনি কৃষি আইনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কৃষি পরিকাঠামাে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফসল সঞ্চয়, ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন কৃষি নির্ভর বাণিজ্যক্ষেত্রগুলির মধ্যে অদৃশ্য দেওয়াল আছে। নয়া আইনের ফলে সেই দেওয়াল সরে গিয়েছে। তাই নতুন কৃষি আইন কৃষকদের কাছে নতুন দিক উন্মােচন করবে। পৌছে দেবে নতুন প্রযুক্তি ও বাজার। দেশের কৃষকরাই এর থেকে সবচেয়ে লাভবান হবেন, তাঁর ভাষণে এমনই দাবি করেন মােদি। 

তিনি আরও বলেন, দেশকে আত্মনির্ভর করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়ােজন। কৃষকদের উন্নতি করতে তাঁদের কাছে নতুন প্রযুক্তির সুবিধা পৌছে দিতে হবে। আর সেই কাজ করতে নতুন আইন প্রয়ােজন।

এদিনের ভারচুয়াল প্ল্যাটফর্মে মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের অগ্রগতি হয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, চলতি বছরের শুরুতে যখন করােনা মহামারীর মুখে পড়লাম তখন জানতাম না কীভাবে এর মােকাবিলা করব। উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছিল। প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। 

দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সংস্কারে প্রয়ােজন রয়েছে বলে সওয়াল করেন তিনি। যদিও মােদির কথায় চিড়ে ভিজবে বলে মনে হয় না। কারণ, বিক্ষোভের ১৭ তম দিনে এসেও কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনড়। শনিবার নতুন করে দিল্লি অবরুদ্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে মােতায়েন করা হয়েছে বিপুল পুলিশ বাহিনী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রশাসন।