এমনিতেই নিত্যপ্রয়ােজনীয় সামগ্রীতে হাত দিতে পারছে না মধ্যবিত্ত। নিম্ন মধ্যবিত্ত বা দরিদ্রদের কথা ছেড়েই দেওয়া যাক। এবার আরও আশঙ্কার বাণী শােনালাে কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যান। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে কমবে না আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম। কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বরং তা আরও বাড়তে পারে।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান দেশের অর্থনীতির যে ছবি তুলে ধরেছে তাতে এই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়ে উঠল। সরকারি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, দেশে এখন যে খুচরাে মুদ্রাস্ফীতি চলছে তার ৪০ শতাংশের দায়-ভাগ বর্তাচ্ছে আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মাংস, টমেটোর উপর।
এই সবক’টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই গত কয়েক মাস যাবৎ আকাশছোঁয়া। রােজই বাড়ছে তাদের দাম। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের ইঙ্গিত সেই দাম খুব শীঘ্র কমবে এমন আশা তাে নেই-ই, বরং আগামী তিন মাস তা আরও বাড়াই সম্ভানা বেশি।
ওই পরিসংখ্যানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি হু হু করে বেড়ে গিয়ে গত অক্টোবরে ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ৯ মাসে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দেশে এতটা বাড়েনি। সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, দেশে এখন খুচরাে মুদ্রস্ফীতি চলছে। তা আরও বাড়বে। আগামী অন্তত তিন মাস তাে বটেই। গত ৬ বছরে দেশে খুচরাে মুদ্রাস্ফীতি সর্বাধিক হয় অক্টোবরে।