জরুরি কিছু ওষুধের দাম বাড়ছে ৫০ শতাংশ,  অনুমোদন এনপিপি-এর

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফের বাড়ছে ওষুধের দাম। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ৮টি ওষুধের ১১টি ফর্মুলেশনের সর্বোচ্চ দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে কিছু দুরূহ রোগের ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে এই সব রোগের ওষুধের। এই ওষুধগুলির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনপিপিএ। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি জানিয়েছে, বিভিন্ন জটিল বা দুরূহ রোগের ওষুধের জোগান নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এনপিপিএ-র সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও ওষুধের ফর্মুলেশনের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।      

যে সব ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে হাঁপানি, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া, টিবি, এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। এই সমস্ত ওষুধগুলি প্রায়শই জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলির প্রচুর চাহিদা থাকায় এগুলির জোগান নিয়ে প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয়। এই ওষুধগুলির দাম বেড়ে যাওয়ায় এগুলির উৎপাদন এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই এই পদক্ষেপ। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়েছে যে কেন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দাম বেড়ে যাওয়া ওষুধের তালিকায় রয়েছে বেনজিল পেনিসিলিন, অ্যাট্রোপিন ইনজেকশন, ইনজেকশনে ব্যবহৃত স্ট্রেপ্টোমাইসিন পাউডার, স্যালবুটামল ট্যাবলেট, এবং রেসপিরেটর সল্যুশন, লিথিয়াম ট্যাবলেট, সেফাড্রক্সিল ট্যাবলেটের মতো ওষুধ।


দাম বাড়ার কিছু অন্যান্য কারণও রয়েছে। কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে ওষুধের। কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যনিয়ন্ত্রক এই সংস্থা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। 

দেশে কার্যকর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এবং ওষুধগুলির জোগান নিশ্চিত করতেই এনপিপিএ দাম বাড়িয়েছে বিশেষ কিছু ওষুধের। তবে চলতি বছর মে মাসে নিয়মিত ব্যবহৃতযোগ্য ৪১টি সাধারণ ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, লিভার সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম কমে।