দিল্লি, ২৩ এপ্রিল– দু’বছর ধরে গ্রামে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা মন্থর৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির হার মুখ থুবডে় পড়াই এর মূল কারণ৷ অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে শখের কেনাকাটার নগদ হাতে থাকছে না৷ এমনকি তেল, সাবান, বিস্কুটের মতো পণ্যের ছোট মোড়ক কেনার প্রবণতা বৃদ্ধির ছবি উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়৷
অতিমারির পরে ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে শহরের তুলনায় দেশের গ্রামাঞ্চল অনেকটাই পিছিয়ে পডে়ছিল৷ সেই ধাক্কা লাগে ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির আয়ে৷ কারণ, তাদের মোট বিক্রিতে গ্রামের অংশীদারি উল্লেখযোগ্য৷ গত বছর থেকেই সংস্থাগুলি বলছিল, সেই বাজারে আগের মতো প্রাণ ফিরতে অনেকটা সময় লাগবে৷ ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তার পর বেশ কিছু দিন কেটে গেলেও স্বস্তি যৎসামান্য৷ বর্ষার ইতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অক্টোবর-ডিসেম্বর গডি়য়ে যেতে পারে৷ এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত সংস্থা গত জানুয়ারি-মার্চের আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে, তাদের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য নয়৷
গোদরেজ কনজ়িমার প্রোডাক্টস ও ডাবর ইন্ডিয়ার মতো সংস্থা জানিয়েছে, গত ত্রৈমাসিকে বিক্রির বড় উন্নতি হয়নি৷ অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজ়ের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট প্রিয়ম তোলিয়া বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির বিক্রি একটি ফাঁদে আটকে৷ বর্ষা এলে ও তার সুফল গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়লে বিক্রি বাড়তে পারে৷’
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি আটা, চিনি-সহ কাঁচামালের দাম কমেছে৷ কিন্ত্ত নিচু চাহিদার বাজারে সংস্থাগুলি পণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হওয়ায় ব্যবসায় তার সুফল মেলেনি৷ তার উপরে আইপিএলের মরসুমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার খাতেও খরচ হচ্ছে বিপুল৷ সে কারণে জানুয়ারি-মার্চে ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির আয় ৫ শতাংশের খুব বেশি উপরে ওঠার সম্ভাবনা কম৷