ভােট মেটার পর থেকেই বার বার ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রায় প্রতিটি বিরােধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। যদিও প্রতিবারই তাদের সঙ্গেই অভিযােগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে শাসকদল। কিন্তু বিরােধীদের সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা এবার হাতেনাতেই প্ৰমণিত হয়ে গেল।
স্ট্রং রুমে জমা পড়ার আগে ইভিএম থেকে ভােটারদের দেওয়া ভােটের তথ্যই লােপাট করে দিলেন প্রিসাইডিং অফিসাররা। এমনই গুরুতর ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে রবিবার ভােট গ্রহণের আগে মক পােলিং (অনুশীলন ভােটদান) করা হয়। সেখানে কমপক্ষে ৫০টি ভােট পড়েছিল। এরপর রবিবার ওই কেন্দ্রগুলিতে আসল ভােটগ্রহণ প্রক্রিয়া হয়।
সে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দেবেশ কুমার জানান, রবিবার ভােটগ্রহণ প্রক্রিয়ার আগে মক পোলের সব তথ্য ওই ইভিএম থেকে মুছে দেওয়ার কথা প্রিসাইডিং অফিসারদের। কিন্তু পাঁচটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা তা করেননি। পরে ভােট গ্রহণের পর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আসল ভােটের তথ্যই ওই প্রিসাইডিং অফিসাররা মুছে দেন।
ঘটনাটির কথা নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসার ও আরও ১৫ জন পােলিং অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষের নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। যে কেন্দ্রগুলিতে ওই ঘটনা ঘটেছে, সেগুলি হল মান্ডি লােকসভা কেন্দ্রের চক, সালভাহন, হরভাহনি গ্রাম, সিমলার কাশ্মীরপুর গ্রাম ও হামিরপুর লােকসভা কেন্দ্রের ভাগের গ্রামে। তবে এটা নেহাত অনিচ্ছাকৃত ভুল না অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খােলেনি কমিশন।