দিল্লি, ১২ জুন – দিল্লির লালকেল্লায় ২০০০ সালের জঙ্গি হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদ আরিফের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একথা জানানো হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আরিফের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। ২০২২ সালের ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল সংসদ হামলায় প্রধান অভিযুক্ত পাকজঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আরিফের তরফে দায়ের করা মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২-এর ৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। জানিয়েছিল, আরিফের বিরুদ্ধে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর দিল্লির লালকেল্লায় হামলা চালিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় দুই সেনা এবং এক সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। রক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল আবু শাদ, আবু বিলাল এবং আবু হায়দার নামে তিন জঙ্গির। ঘটনার চারদিন পর মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাককে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানি নাগরিক আরিফ নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, লালকেল্লায় হামলা চালানোর জন্য ১৯৯৯ সালে ভারতে প্রবেশ করেছিল আরিফ। শ্রীনগরে একজনের বাড়িতে বসে তাঁরা হামলার নক্সাও তৈরি করে।
২০০৫ সালে নিম্ন আদালত আরিফকে ফাঁসির সাজা দেয়। দিল্লি হাই কোর্টও তা বহাল রাখে। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টও লালকেল্লা হামলার মূল দোষী আরিফকে একই সাজা দিয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার সময় সুপ্রিম কোর্ট এও উল্লেখ করে যে লালকেল্লায় হামলা দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করেছে। তাই এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র বিচার্য।
এরপর রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিল এই পাক জঙ্গি । এই নিয়ে দ্বিতীয় বারআরিফের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি ।