৫ আগস্ট দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে ‘ভূমিপূজন’ হবে। কিন্তু কে করবেন এর সূচনা? অযোধ্যার পুরোহিতদের অবশ্য দাবি, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে এখনও এনিয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদি প্রধানমন্ত্রী মন্দির নির্মাণের সুচনা করেন, তাহলে সেটাই হবে তাঁর প্রথম রামমন্দির চত্বর সফর।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত নকশা মেনে রামমন্দির তৈরি হলে মন্দিরের আয়তন ৩০০ আরও বাড়বে বলে অযোধ্যার পুরোহিতরা মনে করছেন। তিনদিন ধরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হবে। রুপোর ইটও তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন ভিভিআইপি ভিআইপি। ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। ওইদিন রামাচার্য পূজা হবে। ৪ আগস্ট ভূমিপূজন। পরের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট মূল অনুষ্ঠান এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। বিশালয় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে অনুষ্ঠানস্থলে।
পাঁচটি রুপোর ইট দিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের সূচনা করা হবে। এই পাঁচটি ইট পৌরাণিক মতে পাঁচটি গ্রহের প্রতীক। বিষ্ণুমন্দিরের আদলে হবে মন্দিরের নির্মাণশৈলী। আটকোণা গর্ভগৃহ তৈরি হবে। মন্দিরের মোট আয়তন হবে ৭৬ হাজার থেকে ৮৪ হাজার বর্গফুটের মতো। যদিও আগের প্রস্তাবিত নকশায় আয়তন ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার বর্গফুটের কাছাকাছি।
অযোধ্যায় এই রামমন্দিরের শুভসূচনা লগ্নের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, মোহন ভাগবত, নীতীশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরেরা উপস্থিত থাকবেন। অধিকাংশ বিজেপি নেতা, যারা মন্দির আন্দোলনের সঙ্গ যুক্ত তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া লালকৃষ্ণ আদবানি, উমা ভারতী, মুরলী মনোহর যোশী, বিনয় কাটিয়ারদের মতো নেতা-নেত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।