• facebook
  • twitter
Saturday, 26 April, 2025

অগ্রিম টাকা দিতে না পারায় ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু প্রসূতির

অগ্রিম টাকা দিতে না পারায় ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল, বিনা চিকিতসায় মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে।

প্রতীকী ছবি

অগ্রিম টাকা দিতে না পারায় ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল, বিনা চিকিতসায় মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে। জানা গিয়েছে, প্রসূতির পরিবার অগ্রিম ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে না পারায় তাঁকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাচক্রে মৃত প্রসূতি বিজেপি নেতা অমিত গোর্খের ব্যক্তিগত সহকারীর স্ত্রী। ফলে সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ঝড় ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।

পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ মার্চ। মৃতার নাম তানিশা ভিসে। বিজেপি নেতার ব্যক্তিগত সহকারী সুশান্ত ভিসের স্ত্রী তানিশা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে পুণের ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালের ১০ লক্ষ টাকার বিল মেটাতে না পারায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারায় এরপর প্রায় ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে শহরের অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তানিশা। সেখানে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই মৃত্যু হয় তানিশার। তানিশার স্বামী সুশান্তের দাবি, ওই সময় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলেন যে চিকিৎসা শুরুর জন্য প্রাথমিক ভাবে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়া হোক, পরে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁর অনুরোধে কর্ণপাত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ তাঁর।

এদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের তরফে চার সদস্যের একটি অন্তর্তদন্ত কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযোগগুলি ‘বিভ্রান্তিমূলক’। ওই মহিলা গর্ভাবস্থা থাকাকালীন শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। জন্মের পর তাঁর গর্ভস্থ দুই শিশুকেও এনআইসিইউ রাখার প্রয়োজন হত। এই চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। সেই কারণেই ওই প্রসূতির পরিবারকে সরকারি হাসপাতালের জটিল অস্ত্রোপচার বিভাগে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরই প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান আত্মীয় পরিজনেরা।

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ। গত সপ্তাহে পুণের জয়েন্ট কমিশনার অফ চ্যারিটির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়েছে। মহিলার মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখছে ওই কমিটি। ফড়ণবীশ বলেন, ‘নিহতের পরিবার আমার সঙ্গে দেখা করেছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করেছি। ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট হাতে এলেই দোষীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’