ওয়ানাড এখন শুধু মৃত্যুপুরী। কখনও মানুষের কোলাহলে মুখরিত ওয়েনাড় এখন মৃতদেহের মিছিল। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪০০। গোটা এলাকাই প্রায় নিশ্চিহ্ন প্রকৃতির রোষে। এখন শুধু মৃতদেহ উদ্ধার এবং তাদের নাম গুনতি করে ক্লান্ত উদ্ধারকারীরা। কিন্তু এই গুনতির মাঝে এমন একটা নামও আছে যেনাম শুধু ওয়েনাড় নয় গোটা ভারতের কাছে গর্ভের। এমন একজন যার মৃত্যু হলেও তিনি অমর তাঁর কর্মে।
প্রজেশ, ১০০ জনের জীবনদানকারী। বছর ছত্রিশের প্রজেশ পেশায় শেফ । লিজে এলাচের চাষও করতেন তিনি। সেন্টিনেল রক এস্টেটে থাকতেন প্রজিশ। সেখানে চা-বাগান রয়েছে। সেই বাগানেরই ১০০ জন কর্মীকে ধসের দিন উদ্ধার করেছিলেন প্রজিশ। ১০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে ধসে আটকে থাকা আরও ছ’জনকে উদ্ধার করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন তিনি। সেই মুহূর্তে আরও একটি ধস নেমে আসায়, তার নীচেই চাপা পড়ে যান প্রজিশ। ওয়েনাড়ের চূড়ালমালায় এখন সকলের মুখে মুখে ফিরছে তাঁরই নাম।
প্রজিশ যে রিসর্টে শেফের কাজ করতেন, সেই রিসর্টেরই এক কর্মী জিতু এম বলেন, “প্রজিশ কখনও নিজের জন্য ভাবেনি। জীবনের তোয়াক্কা করেনি। ধস নামতেই সকলকে সতর্ক করেছিল ও। প্রজিশেরই তৎপরতায় ১০০ জনের জীবন বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু শেষে নিজেই বেঁচে ফিরল না!” চা-বাগানের এক শ্রমিক জানিয়েছেন, প্রজিশ অত্যন্ত সাহসী ছিলেন। ২৮ জুলাই সারা রাত বৃষ্টি হয়। কিছু একটা আঁচ করতে পরেছিলেন প্রজিশ। তাই চা-বাগানের কর্মী এবং রিসর্টের সকলকেই সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। প্রজিশের আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হয়েছিল।