• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

রাহুলের সফরের দিনই রায়বেরেলি জুড়ে পোস্টার , ‘হিন্দুবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য নিশানা

রায়বেরেলি, ৯ জুলাই – লোকসভা ভোটে জয়ের পর মঙ্গলবারই প্রথম রায়বেরেলি গিয়েছেন রাহুল গান্ধি।তাঁর সফরের দিনই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র রায়বেরেলিতে পোস্টার পড়ল । নামহীন ওই পোস্টারে লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তাঁর ‘হিন্দুবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য নিশানা করা হয়েছে। এদিকে, একটি সোশ‌াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় , মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির ছবি দেওয়া পোস্টার ডোরম‌্যাট

রায়বেরেলি, ৯ জুলাই – লোকসভা ভোটে জয়ের পর মঙ্গলবারই প্রথম রায়বেরেলি গিয়েছেন রাহুল গান্ধি।তাঁর সফরের দিনই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র রায়বেরেলিতে পোস্টার পড়ল । নামহীন ওই পোস্টারে লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তাঁর ‘হিন্দুবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য নিশানা করা হয়েছে। এদিকে, একটি সোশ‌াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় , মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির ছবি দেওয়া পোস্টার ডোরম‌্যাট হিসাবে ব‌্যবহার করা হচ্ছে। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘হিন্দুদের হিংস্র এবং ইভ টিজার বলার সাহস কীভাবে হয়?’ ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

লোকসভা ভোটে জয়ের পর মঙ্গলবারই প্রথম রায়বেরেলি যান রাহুল। তাঁর সফরের ঠিক আগেই হিন্দিতে ‘রাহুল গান্ধি জবাব দিন’ লেখা পোস্টারে ছেয়ে যায় রায়বেরেলি। সেখানে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে ‘হিন্দুদের হিংস্র বলা’র অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন— ‘আপনার ধর্ম কী?’
 
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, অষ্টাদশ লোকসভার  প্রথম অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা গোটা হিন্দু সমাজকে ‘হিংস্র’ বলেছেন। যদিও রাহুল এবং কংগ্রেসের দাবি, হিন্দু সমাজ নয়, বিজেপির উদ্দেশে ওই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বিজেপি গোটা হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না বলেও দাবি রাহুলের।
 
এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নামে বিজেপি-সহ সঙ্ঘ পরিবার। বিতর্কের ওই আবহে সোমবার উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরাসরি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধি বলেছেন, হিন্দু ধর্মে হিংসার কোনও স্থান নেই। তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। বেছে বেছে বক্তৃতার কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে।’’ উল্লেখ‌্য, হিন্দুধর্মের যে কোনও বিষয়ে শঙ্করাচার্যদের মন্তব্য  সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায়। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে প্রথম ভাষণে কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুলের মুখে শোনা যায় ‘হিন্দুত্ববাদ’ প্রসঙ্গ। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “হিন্দুরা কখনওই হিংসা ছড়ায় না। ধর্মের নামে গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে বিজেপি ।” তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। রাহুলের ভাষণের মাঝেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উঠে দাঁড়িয়ে বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “গোটা হিন্দু সমাজকে উদ্দেশ করে যে মন্তব্য করা হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুতর।” বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, হিন্দুবিদ্বেষী মন্তব্য ছড়াচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ। তবে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে হিন্দুধর্মের কোনও অবমাননা নেই বলেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন শঙ্করাচার্য। বরং রাহুলের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেই তাঁর দাবি। শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, “রাহুলের বক্তব্যের নামে অর্ধসত্য প্রচার করা হচ্ছে।” অযোধ‌্যার অসম্পূর্ণ মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। এবার তিনিই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির  ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে মন্তব্যে সমর্থন জানালেন।