প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে কাঠগড়ায় তুলে অসংখ্য পােস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে দিল্লি। এই পােস্টারগুলিতে করােনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ মােদি, এমনই অভিযােগ তােলা হয়েছিল। দ্রুত দিল্লি পুলিশ সেই পােস্টার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মােদিকে উদ্দেশ্য করে প্রায় গােটা দিল্লি জুড়ে হিন্দিতে পােস্টার সাঁটানাে হয়েছে। ওই পােস্টারে লেখা রয়েছে, ‘মােদিজি আপনি আমাদের বাচ্চাদের ভ্যাকসিন বিদেশে কেন পাঠালেন? এই পােস্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্বাঞ্চলীয়, পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির চারটি পুলিশ ডিভিশনেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম বহু পােস্টার, ব্যানার পড়েছে। এরপরই পুলিশ ডিফেসমেন্ট অফ পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্ট সহ একাধিক ধারায় ১৩ টি এফআইআর দায়ের করেছে।
সংগঠিত ভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই কাজ করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। সম্প্রতি, ল্যানসেটের মতাে নামি গবেষণাধর্মী পত্রিকার সম্পাদকীয়তে মােদি সরকারের সমালােচনা করা হয়েছে কোভিড মােকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে। সমালােচনায় মুখর দেশের প্রধান বিরােধী রাজনৈতিক দলগুলি। এক সময়ের শরিক শিবসেনাও মুখর হয়েছে মােদির বিরুদ্ধে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও মােদি সরকারকে ছেড়ে কথা বলেননি। দিল্লির শােচনীয় অবস্থার জন্য, কেন্দ্রই দায়ী এমনটাই অভিযােগ। কেন্দ্রের সমালােচনা করলেই পুলিশ তলব কাছে নেতাদের। দিল্লিতে কংগ্রেসের এক নেতাকে, যিনি কোভিডে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করছেন, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এবার মােদির বিরুদ্ধে পােস্টার সাঁটানােতে গ্রেফতার করা হল ১২ জনকে।