লন্ডন, ২৪ মার্চ– বর্তমানে বিশ্বে ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস৷ যত প্রজন্ম এগোবে, ততই জনসংখ্যা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্ত্ত সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা এই কথা বলছে না৷ সমীক্ষা বলছে উল্টো পথে হাঁটছে বিশ্ব৷ আগামী কয়েক দশকের মধ্যে জনসংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে এবং তা মোটেও ভালোর দিকে নয়৷ ল্যান্সেল জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বৈশ্বিক জন্মহারে ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে৷ দ্রুতহারে জন্মহার কমছে৷
ল্যান্সেল জার্নালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৯৫০-র দশক থেকেই বিশ্বজুডে় জন্মহার কমতে শুরু করেছে৷ সমস্ত দেশেই জন্মহার কমছে৷ এই শতাব্দীর শেষ অবধি এই ধারা বজায় থাকবে৷ ১৯৫০-র দশকে যেখানে জন্মহার ৪.৮৪, তা ২০২১ সালে কমে দাঁডি়য়েছে ২.২৩-এ৷ ২১০০ সালের মধ্যে এই জন্মহার কমে ১.৫৯- এ পৌঁছবে৷ ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবী ফাঁকা৷
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের তরফে জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়া নিয়ে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, মহিলাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে গর্ভনিরোধক বডি়র মতো কারণ যেমন রয়েছে, তেমনই সন্তান ধারণের খরচ বৃদ্ধি এবং ছোট পরিবার পরিকল্পনাও জন্মহার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ৷
জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার হার ছিল মহিলা প্রতি গডে় ২.১ সন্তান৷ এটাকে রিপ্লেসমেন্ট লেভেল বলা হত৷ যখন এই হারের নীচে জন্মহার কমে যায়, তখনই জনসংখ্যা কমতে থাকে৷ ২০২১ সালের পর থেকে বিশ্বের ৪৬ শতাংশ দেশেরই জন্মহার কমতে শুরু করেছে৷ ২১০০ সালের মধ্যে এই হার ৯৭ শতাংশে পৌছবে৷