হস্টেলের নতুন ফি কাঠামাে প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করলেও পুলিশি তৎপরতায় সংসদ ভবন পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হল না- দুপুরবেলা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। শতাধিক পড়ুয়া হতে পােস্টার নিয়ে হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে সংসদ ভবনের উদ্দ্যেশ্যে মিছিলে যােগ দিয়েছিল। তাদের দাবি, নতুন ফি নয়, হস্টেলের পুরােনাে ফি বহাল রাখতে হবে।
জেএনইউ ক্যাম্পাসের বাইরে ১২০০ পুলিশ কর্মী মােতায়েন করা হয়েছিল। সংসদ ভবনের বাইরে বিশাল জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি এন সাঁই বালাজি বলেন, ‘সংসদ ভবনের উত্তর দিকের গেটের এক কিলােমিটার আগে দিল্লি পুলিশ জেএনইউ ছাত্রদের মিছিলের পথ আটকে দেয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব আর সুব্রহ্মণ্যম টুইট করে লিখেছিলেন, ‘জেএনইউ কার্যনির্বাহী কমিটির তরফে হস্টেল সহ একাধিক ফি লক্ষণীয় মাত্রায় বৃদ্ধির কথা ঘােষণা করে। ই ডব্লু এস পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তায় লক্ষ্যে স্কিম চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে’।
পড়ুয়ারা হস্টেল ম্যানুয়ালের খসড়া প্রকাশ হওয়ার পর টানা দশ দিন ধরে ফি বৃদ্ধি, ড্রেস কোড, হস্টেলের নির্ঘন্টের বিরােধিতা করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন দিবসে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছিল। ছাত্র সংগঠনের তরফে বলা হয়, সংসদ ভবনকে গন্তব্য করে মিছিল করার নেপথ্যে গুঢ় উদ্দেশ্য রয়েছে– ‘আমরা সংসদদের কাছে অনুরােধ করব, তারা যেন আমাদের হয়ে সংসদের অধিবেশনে লড়াই করেন’।
শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে আজ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ফের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে কমিটিকে সেটা দেখতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব আর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘জেএনইউ’র স্বাভাবিক পঠন-পাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলােচনা করা হবে। কমিটি পড়ুয়াদের সঙ্গে আলােচনা করবে। জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শীঘ্র পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে’।
সহ উপাচার্য এম জগদীশ কুমার প্রতিবাদরত ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরােধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও আপলােড করেছে- যেখানে তাঁকে বলতে শােনা গেছে, একাধিক পড়ুয়া ও অভিভাবকরা পড়াশুনার ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইমেল পাঠিয়েছেন।
জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হস্টেলের ডবল বেড রুমের ভাড়া প্রতিমাসে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করেছে। সিঙ্গল বেড রুমের ভাড়া ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। এককালীন ফেরতযােগ্য মেস সিকিউরিটি ডিপােজিটের পরিমাণ ৫৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২,০০০ টাকা করা হয়েছে। লক্ষণীয়, বিপিএল ক্যাটাগরির পড়ুয়াদেরকে সিঙ্গল বেডরুমের ভাড়া ৩০০ টাকা ও ডল বেড রুমের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে।