প্রয়াগরাজে আসন্ন মহাকুম্ভ উপলক্ষে শুক্রবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পগুলির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। মহাকুম্ভনগরে মোদীর চার ঘন্টার এই সফরকালে সঙ্গমে একটি অস্থায়ীভাবে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি মা গঙ্গাকে প্রণাম জানাবেন। এবং গোটা বিশ্ববাসীকে এই পুণ্য তীর্থক্ষেত্র পরিদর্শনের জন্য আহ্বান জানাবেন। এই সরকারি অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এজন্য সঙ্গমস্থল এবং অন্যান্য যেসব জায়গায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে থেকেই কঠোর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পৌরাণিক সরস্বতী ও পবিত্র যমুনার সঙ্গমে ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদী এদিন সকাল ১১টা ২৫ নাগাদ একটি বিশেষ বিমানে বামরাউলি বিমানবন্দরে অবতীর্ণ হবেন। সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে আড়াইলে আসবেন। সেখান থেকে নিশাদরাজ ক্রুজে চড়ে কিলা ঘাটে পৌঁছবেন। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভ সঙ্গমের সন্নিকটে গঙ্গাপূজার মধ্যে দিয়ে তাঁর সফরসূচি শুরু করবেন। সেখানে সাধুসন্তদের সঙ্গে মিলিত হবেন। এরপর তিনি সরস্বতী কুপা, অক্ষয়ভাট এবং বড় হনুমান মন্দির পরিদর্শন করবেন।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এদিন সঙ্গমে তীর্থস্নান করবেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। গঙ্গা পূজার পর মোদী সঙ্গমের নাকের ডগায় একটি প্যান্ডেলে হাজির হবেন। সেখানে প্রায় ছয় শত প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। যার মূল্য সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালে শ্রিংভারপুর ধাম, নিষাদরাজ পার্কে নির্মিত ঘাট এবং ভগবান রাম ও নিষাদরাজের মূর্তির মতো প্রকল্পগুলি একের পর এক উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি তিনি গঙ্গা নদীর সামনে এবং শ্রিংভারপুরে একটি জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
মোদী মহাকুম্ভে আখড়ার শ্রীমহন্ত ও মহামণ্ডলেশ্বরদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ১৩টি আখড়ার প্রায় ২৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিটি আখড়া থেকে দুজন করে কর্মকর্তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আখড়াগুলি ছাড়াও, আচার্যওয়াড়া, ডান্ডিওয়াড়া এবং খাক চকের সাধুরাও সভায় উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য চার হাজার কুইন্টাল ফুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজকীয় এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১৫ প্রজাতির গোলাপ সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি থেকে ৩২ রকমের ফুলের সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির ভিনদেশি ফুল অনুষ্ঠানে সুবাস ছড়াবে। পাশাপাশি, দুই প্রজাতির গাঁদা আনা হবে কলকাতা থেকে। এছাড়া লিলি এবং অর্কিড জাতীয় ফুল সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির ফুলও অনুষ্ঠানে সুগন্ধ ছড়াবে।