বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, প্রচারে গিয়ে দেওঘর বিমানবন্দরে আটকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে শুক্রবার দেওঘর বিমানবন্দরে আটকে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের মতো বাতিল করা হয় উড়ানটি। প্রায় দুই ঘন্টা পর দিল্লি থেকে আসা দ্বিতীয় একটি বিমানে দিল্লি গেলেন মোদী। এদিন দিনভর ঠাসা কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ১৫ নভেম্বর বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। সেজন্য এই দিনটিকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। সেই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে বিহারের জামুইয়ে গিয়ে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শুরু করেন তাঁর একাধিক কর্মসূচি। প্রায় ৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।

মূলত উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া সমাজের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। এইসব অঞ্চলের গ্রাম এবং প্রত্যন্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রকল্পগুলির সূচনার পর প্রধানমন্ত্রী চলে আসেন ঝাড়খণ্ডে। সেখানে এখনও বাকি রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের আরও এক দফার ভোটগ্রহণ। সেই ভোটের প্রচারেই তিনি ঝাড়খণ্ডে আসেন।

আগামী ২০ নভেম্বর সেখানে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হবে। সেজন্য এখন প্রচার কাজে ব্যস্ত রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রচারের উদ্দেশ্যেই বিহারের কর্মসূচি সেরে ঝাড়খণ্ডে দলের প্রচারে যান। সেখানে দুপুরে দুটি জনসভা করেন। গোড্ডা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে চাকাইতে জনসভা করেন মোদী। এরপর তাঁর ফেরার কথা ছিল দিল্লিতে। কিন্তু দেওঘর বিমানবন্দরে তাঁর বিশেষ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়তেই সব গোলমাল হয়ে যায়। তিনি বিমানবন্দরেই আটকে পড়েন। কারণ, তাঁর বিশেষ বিমানটির এখন মেরামতির কাজ চলছে। সেজন্য ওই বিমানে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় দিল্লি থেকে দ্বিতীয় বিমান আসার জন্য। যেহেতু তিনি দেওঘর বিমানবন্দরে ছিলেন, সেজন্য আঁটসাঁটো করা হয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিল্লি থেকে সেই বিমান আসে দেওঘর বিমানবন্দরে। রাতের দিকে সেই বিমানে চড়ে দিল্লি ফিরেছেন মোদী।


এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কপ্টার ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বা এটিসির তরফে। এমনই অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। যার জেরে দেওঘর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কপ্টারে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় এই কংগ্রেস নেতাকে। যদিও দুই ঘন্টা পরে রাহুল গান্ধীর কপ্টার ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।